বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম স্কন্ধ। ৭১ অ t . 3○○ এই কথা শুনিয়া দূত প্রস্থান করিয়া রাজাদিগকে যথাবৎ কহিল ; তাহারাও মুক্তিবিষয়ে সাভিলাষ ছিলেন ; সুতরাং শোরীর সন্দর্শন প্রতীক্ষা করিয়া রহিলেন । হরি অনিৰ্ব, সোঁবীর, মরুদেশ ও কুরু উত্তীর্ণ হইয়। গিরি, নগর, গ্রাম, ব্রজ ও অাকর সকল অতিক্রম করিয়া চলিলেন । তাহার পর মুকুন্দ দৃশদ্বতী ও সরস্বতী উৰ্ত্তীর্ণ হইয়া পাঞ্চাল ও মৎস্যদেশ ( অতিক্রম করত) ইন্দ্রপ্রস্থে উপস্থিত হইলেন । নরগণের দুদর্শ সেই (শ্ৰীকৃষ্ণ ) আগমন করিয়াছেন, শ্রবণ করিয়া তাজাতশত্রু আনন্দিত হইয়া উপাধ্যায় ও বন্ধুবর্গের সহিত নির্গত হইলেন। যেমন ইন্দ্রিয় সকল প্রাণের প্রতি, তেমনি সেই ( পাণ্ড,নন্দন ) হৃশীকেশের প্রতি গীত-বাদিত্রশব্দ এবং তুমুল বেদশব্দের সহিত মাদরপূর্বক যাত্রা করিলেন। শ্ৰীকৃষ্ণকে দর্শন করিয়া পাওবের হৃদয় স্নেহে আদ্রীভূত হইল ; তিনি বহুকালের পর দৃষ্ট প্রিয়তমকে বারম্বার আলিঙ্গন করিতে লাগিলেন। রমার নির্দোষ আশ্রয়ভূত মুকুন্দগাত্র আলিঙ্গন করিয়া নৃপতির অশুভ নাশ পাইল ; লোচন আনন্দজলে পরিপূর্ণ হইল ; এবং শরীর লোমাঞ্চিত হইয়া উঠিল । তিনি লোকব্যবহার ভুলিয়া গেলেন ; (এই ভাবে) পরম নিৰ্বতি প্রাপ্ত হইলেন। সেই মাতুলতনয়কে আলিঙ্গন করিয়া ভীম মুখিত ও লোমাঞ্চিত-কলেবর হইলেন ; প্রেমাপ্রতে র্তাহার ইন্দ্রিয় সকল আকুল হইল। নকুলসহদেব এবং অর্জুনও আনন্দে সাশ্র্যপূর্ণ-লোচন হইয়া মুহৃস্তুম অমৃতকে আলিঙ্গন করিলেন। (শ্ৰীকৃষ্ণ) অর্জন কর্তৃক আলিঙ্গিত এবং নকুলসহদেব কর্তৃক বন্দিত হইয়া ব্রাহ্মণ ও বৃদ্ধদিগকে যথোপযুক্ত নমস্কার করিয়া