বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 রাজমালা । [ विडौब्र অতিরিক্ত মদ্য প্রদান দ্বারা সংজ্ঞাহীন করিয়া, পরিশেষে তাহার মস্তক ছেদন করিয়াছিল। অতঃপর মহারাজ বিজয়, দীর্ঘকাল রাজ্য শাসন করিয়া যশস্বী ও দিগ্বিজয়ী aaaaaaaaa, হইয়াছিলেন। তিনি সেনাপতিগণের হস্ত হইতে শাসন ক্ষমতা ཅུ་རྫོང་། so উঠাইয়া লইয়া, “উজীর” পদবীধারী নবনিয়োজিত কৰ্ম্মচারীর হস্তে শাসনভার অর্পণ করিয়াছিলেন । এই পদবী মুসলমান শাসনের অনুকরণে স্বস্ট হইয়াছে। এবার আর একটী বিশ্বাসঘাতক সেনাপতির কথা বলা হইবে, র্তাহার নাম সেনাপতি গোপীপ্রসাদ নারায়ণ । ইনি বাছাল সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন । গোপপ্রসাদের মহারাজ বিজয়মাণিক্য ইহাকে, প্রথমতঃ বড়ুয়া উপাধি প্রদান *" করেন। কিয়ৎকাল পরে তাহাকে স্বীয় সুপকার পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। ত্রিপুর রাজ্যে মহারাজের পাচকগণ ‘মহামুন্সী’ পদবাচ্য হইয়। থাকে। ইহার পর মহারাজ, গোপীপ্রসাদকে সেনাপতি পদে নিযুক্ত ও নারায়ণ উপাধি প্রদান দ্বারা সম্মানিত করেন। গোপীপ্রসাদ এই পদ প্রাপ্তিকালে, শালগ্রাম ও হরিবংশ স্পর্শ করিয়া, সৰ্ব্বদা রাজার হিতকামী হইবেন, এরূপ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়াছিলেন । মহারাজ বিজয়মণিক্যের পুত্র অনন্ত দেব নিতান্ত কুরুচিসম্পন্ন ও অনাবিষ্ট ছিলেন । ইনি ভাবী রাজা, ইহার ভবিষ্যৎ নিরাপদ করিবার অভিপ্রায়ে মহারাজ বিজয়, অনেক চিন্তার পর সেনাপতি গোপীপ্রসাদের কন্যার সহিত স্বীয় পুত্রের উদ্বাহ ক্রিয়া সম্পাদন করাইলেন এবং সর্বদা পুত্রের হিতকর কার্য্যে নিযুক্ত থাকিবার নিমিত্ত সেনাপতিকে সত্যপাশে আবদ্ধ করাইলেন । বিজয়মণিক্যের স্বৰ্গারোহণের পর, অনন্তমাণিক্যকে সিংহাসনে স্থাপন anana, করিয়া, সেনাপতি গোপীপ্রসাদ রাজকাৰ্য্য স্বহস্তে গ্রহণ করিলেন। 3 || মহারাজ অনন্ত সর্ববতোভাবে শ্বশুরের উপর নির্ভর করিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন ; তিনি শ্বশুরের অভিপ্রায়ানুসারে প্রতিদিন তাহার আলয়ে যাইয়া ভোজন করিতেন। অনন্তমাণিক্যের মহিষী (গোপীপ্রসাদের কন্যা ) পিতার ব্যবহারে সন্দেহাম্বিত হইয়া, মহারাজকে সৰ্ব্বদা শ্বশুরালয়ে যাইয়া ভোজনাদি করিতে বারণ করিতেছিলেন, কিন্তু মহারাজ এই প্রস্তাব গ্রাহ করিতেন না। এই সূত্রে মহারাণী পতিকে বিস্তর ভৎসনাও করিলেন, কিন্তু এই ক্ষেত্রে তাহার সর্বববিধ চেষ্টাই ব্যর্থ হইয়াছিল। এ দিকে গোপীপ্রসাদ অবাধ আধিপত্যের ফলে উত্তরোত্তর এরূপ প্রভাবান্বিত গোপীপ্রসাদের হইয়া উঠিলেন যে, সিংহাসন লাভ ব্যতীত ইহার প্রভুত্বের পিপাসা "িত"ত মিটিতেছিল না। পরিশেষে ভোজনার্থ স্বীয় ভবনে আগত জামাতাকে গুপ্তচরদ্বারা নিহত করিয়া ‘উদয়মাণিক্য নাম গ্রহণপূর্বক সিংহাসনারূঢ়