বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f صدی تھی محب ہیں۔ VSW শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর । উখিত হইয়া থাকে। তঁহার বাম্যপ্ৰধান মানে শ্ৰীকৃষ্ণের স্বভাবগম্ভীর আনন্দসাগর উথলিয়া উঠে। তঁহার প্ৰেমকে অধিরূঢ় মহাভাব বলা হয়। উহা দশধা দগ্ধ নিৰ্ম্মল কাঞ্চনের তুল্য। শ্ৰীরাধিক যদি হঠাৎ শ্ৰীকৃষ্ণের দর্শন লাভ করেন, তবে বিবিধ ভাববিভূষণে বিভূষিত হইয়া থাকেন। শ্ৰীকৃষ্ণদৰ্শনে শ্ৰীরাধার অষ্ট সাত্ত্বিক ভাব, হৰ্ষাদি সঞ্চারী ভােব এবং ভাবহাবাদি বিংশতি ভাবালঙ্কার প্রকাশ পাইয়া থাকে। শ্ৰী রাধাকে এই সকল অলঙ্কারে অলঙ্কত দেখিলে, শ্ৰীকৃষ্ণের সুখান্ধিতরঙ্গ উথলিয়া উঠে। শ্ৰী রাধার শ্ৰীঅঙ্গে যখন এই সকল অলঙ্কার দৃষ্ট হয়, তখন শ্ৰীকৃষ্ণসঙ্গম হইতেও কোটিগুণ সুখ পাইয়া থাকেন । “বাম্পর্যাকুলিতারুণাঞ্চলন্নেত্ৰং রসোল্লাসিতং হেলোল্লাসচলাধরং কুটলিতং ভ্ৰযুগমুন্যৎস্মিতম। কান্তায়াঃ কিলকিঞ্চিতাঞ্চিতমসেী বীক্ষ্যাননং সঙ্গমাদানন্দং তমবাপ কোটিগুণিতং যোহভূন্ন গীর্গোচরঃ ॥* গোবিন্দ লী।। ৯১৮ দানলীলায় শ্ৰীকৃষ্ণ যখন শ্ৰীরাধিকার পথরোধ করেন, তখন রোদিন, রোষও ভয় প্ৰযুক্ত বাষ্পব্যাকুল, অরুণপ্ৰান্ত ও চঞ্চল নয়নবিশিষ্ট, গর্ববশতঃ রসোল্লাসময়, অভিলাষবশতঃ হেলার উদয়ে চঞ্চল অধরবিশিষ্ট, অসূয়া বশতঃ ভ্ৰকুটিযুক্ত ও মৃদুহাম্ভসম্বলিত, অতএব কিলকিঞ্চিতাখ্য' অলঙ্কারে অলঙ্কত শ্ৰী রাধার বদন অবলোকন করিয়া তিনি যে কি আনন্দ অনুভব করিয়াছিলেন, তাহা বাক্যের অগোচর এবং সঙ্গম হইতেও কোটিগুণ অধিক । প্ৰভু শুনিয়া সানন্দে দামোদরকে আলিঙ্গন প্ৰদান করিলেন । শ্ৰীবাস পণ্ডিত হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “দামােদর, তােমার শ্ৰীবৃন্দাবনের সম্পৎ কেবল পুষ্প, কিশলয়, গৈরিক, গুঞ্জা ও শিখিপুচ্ছ, আর আমার লক্ষ্মীর সম্পৎ কত দেখ। ঐ দেখ, জগন্নাথ এই সকল সম্পৎ ছাড়িয়া বৃন্দাবনের পুষ্পেপাদ্যান দেখিতে যাওয়ায় আমার লক্ষ্মী দুঃখিত হইয়া জগন্নাথের কি লাঞ্ছনা করিতেছেন। ঐ দেখ, गौ। দাসীগণ তোমার প্রভুর পরিজনন্দিগকে বাধিয়া আনিয়া চরণে প্ৰণতি করাইতেছে। ঐ দেখ, তোমার প্রভুর সেবকগণ করযোড়ে প্ৰভুকে আনিয়া দিব বলিয়া প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হইতেছে। ঐ দেখ, উহাদের প্ৰতিজ্ঞায় শান্ত হইয়া লক্ষ্মীদেবী গৃহে গমন করিলেন, তবে তোমার প্রভুর পরিজনুসকল মুক্তি পাইলেন। আমার লক্ষ্মী রাজমহিষী, আর তোমার গোপীগণ দধিমন্থনকারিণী।” শ্ৰীবাস পণ্ডিতের কথা শুনিয়া ভক্তগণ হাস্য সম্বরণ