বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর আর একদিন এক ব্ৰাহ্মণ হরিদাসঠাকুরকে উচ্চস্বরে হরিনাম করিতে “আয়ে হরিদাস একি ব্যাভার তোমার । ডাকিয়া যে নাম লহ কি হেতু ইহার। মনে মনে জপিবা এই সে ধৰ্ম্ম হয়। ডাকিয়া লইতে নাম কোন শাস্ত্ৰে কয় ॥” হরিদাস ঠাকুর বলিলেন,- “উচ্চ করি লইলে শতগুণ পুণ্য হয়। দোষ ত না কহে শাস্ত্ৰে গুণ সে বর্ণয়। পশু-পক্ষী-কীট-আদি বলিতে না পারে। শুনিলে সে হরিনাম তারা সব তরে । জপিলে সে কৃষ্ণনাম আপনে সে তরে। উচ্চসঙ্কীৰ্ত্তনে পর-উপকার করে ৷” ব্ৰাহ্মণ শুনিয়া হরিদাস ঠাকুরকে নানা দুৰ্বাক্য বলিতে বলিতে ঐ স্থান ত্যাগ করিলেন । তদনন্তর হরিদাস ঠাকুর রামদাস নামক ব্ৰাহ্মণকে হরিনাম দ্বারা শক্তিসঞ্চার করিয়া প্ৰতিষ্ঠার ভয়ে ফুলিয়া ত্যাগ করিয়া কিছুদিন কুলীন গ্রামে যাইয়া বাস করেন। পরে তিনি শ্ৰীধাম নবদ্বীপে যাইয়া অদ্বৈতাচাৰ্য্যের শরণ লয়েন। অদ্বৈতপ্ৰকাশ নামক গ্রন্থে লিখিত আছে, হরিদাস ঠাকুর অদ্বৈতাচাৰ্য্যের নিকট দীক্ষিতও হয়েন। দীক্ষার পর হরিদাস ঠাকুর অদ্বৈতাচাৰ্য্যের সঙ্গে সঙ্গেই থাকিতেন এবং তঁহারই বাটীতে প্ৰসাদ পাইতেন। অদ্বৈতাচাৰ্য্য শান্তিপুরের বাটতে গমন করিলে হরিদাস ঠাকুরও র্তাহার সহিত শান্তিপুরেই গমন করিতেন। আবার তিনি যখন নদীয়ায় আসিতেন, হরিদাস ঠাকুরও র্তাহার সহিত নদীয়াতেই আগমন করিতেন। একদিন সপ্তগ্রামের গােবৰ্দ্ধনদাসের পুরোহিত বলরাম আচাৰ্য অনেক অনুরোধ করিয়া হরিদাস ঠাকুরকে নিজের বাটীতে লইয়া গেলেন। ঐ সময়ে বলরাম আচাৰ্য্য হরিদাস ঠাকুরকে একদিন গোবৰ্দ্ধনদাসের বাটীতেও লইয়া যান। হরিদাস ঠাকুরকে দেখিয়া গোবৰ্দ্ধনদাসের সভাসদগণ হরিদাস ঠাকুরের iংসার সহিত শ্ৰীহরিনামের মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তনে প্ৰবৃত্ত হয়েন। নাম