পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अनि-दौला Vy মাহাত্ম্য শ্ৰবণে আনন্দিত হইয়া হরিদাস ঠাকুর নিম্নলিখিত শ্লোকটি পাঠ করিলেন- چ “অজঘঃ সংহরদখিলং সরুদুদয়াদেব সকললোকস্য । তরণিরিব তিমিরজলধিং জয়তি জগন্মঙ্গলং হরেনাম।” * (পদ্মাবল্যাম) নামের উদয়মাত্র সকল পাপের ক্ষয় হয়, এই কথা, সভাস্থ গোপাল চক্ৰবৰ্ত্তী নামক ব্যক্তিবিশেষের অসহ্য হইল। তিনি হঠাৎ বলিয়া উঠিলেন, “এই কথা যদি সত্য হয়, তবে আমার নাক কাটা যাইবে । হরিদাস ঠাকুর সকল DBDB BDBD KBBSBDD DBD D DBD BDBB BBB DDSDDD DDD বলিলেন, “এই কথা যদি মিথ্যা হয়, তবে আমার নাক নষ্ট হইবে।” এই কথা বলিয়াই হরিদাস ঠাকুর সপ্তগ্রাম ত্যাগ করিলেন। লিখিত আছে, অল্পদিনের মধ্যেই কুণ্ঠরোগে ঐ ব্ৰাহ্মণের নাসিকা নষ্ট হইয়া যায়। গয়া ধাম যাত্ৰা । হরিদাসঠাকুর যখন আপনমনে কখন নদীয়ায় কখন শান্তিপুরে নামসঙ্কীৰ্ত্তন প্রচার করিতেছেন, সেই সময়েই শ্ৰীগৌরাঙ্গ জীবকে প্ৰেমভক্তি প্ৰদান করিতে অভিলাষী হইয়া, কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতরণের পূর্বে, একবার গয়াধামগমনের বিশেষ প্রয়োজন বোধ করিলেন। পরে তিনি তীর্থযাত্রার উপযোগী নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম সকল সমাধানপূর্বক জননীর অনুমতি লইয়া মেসো চন্দ্ৰশেখর আচাৰ্য্য ও কতিপয় শিষ্যের সমভিব্যাহারে গয়াধামের অভিমুখে বাত্রা করিলেন। তিনি শিষ্যগণকে উপদেশ প্ৰদান ও শাস্ত্রালাপ করিতে করিতে পরমসুখে পথ অতিক্রম করিতে লাগিলেন । লিখিত আছে, একদিন একস্থানে মৃগমিথুনের বিহারদর্শনে শিষ্যদিগকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন,- “লোভ মোহ কাম ক্ৰোধে মত্ত পশুগণ । কৃষ্ণ না ভজিলে এইমত সর্বজন ”ি এইরূপে শ্ৰীগৌরাঙ্গ নানাস্থান ভ্ৰমণ করিতে করিতে বঙ্গদেশের সীমা অতিক্ৰম পূর্বক ভাগলপুর অঞ্চলের অন্তর্গত মন্দারপর্বতে উপনীত হইলেন।

  • সুৰ্য, উদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই যেরূপ নিখিল অন্ধকার নিয়াস করে, সেইরূপ জগন্মঙ্গল শ্ৰীহরিনাম একবার মাত্র উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই লোকসমূহের অখিলপাপ সংহার করে। এতাদৃশ শ্ৰীহরিনাম জয়যুক্ত হউক।