পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS)e শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [১৮৮৫, ২২ অক্টোবর । পেন্সন লইয়াও দান করেন, ঋণ করিয়া দান করেন, আর সর্বদাই ঈশ্বর চিন্তায় থাকেন। পীড়া শুনিয়া তিনি দেখিতে আসিয়াছেন। ডাক্তার সরকার চিকিৎসা করিতে আসিয়া ছয় সাত ঘণ্টা করিয়া থাকেন, ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণকে সাতিশয় ভক্তি শ্রদ্ধ করেন, ও ভক্তদের সহিত পরম আত্মীয়ের ন্যায় ব্যবহার করেন । - - রাত্রি প্রায় ৭টা হইয়াছে। বাহিরে জ্যোৎস্না—পূর্ণাবয়ব নিশানাথ যেন চারিদিকে সুধা ঢালিয়াছেন । ভিতরে দীপালোক, ঘরে অনেক লোক । অনেকে মহাপুরুষ দর্শন করিতে আসিয়াছেন। সকলেই একদৃষ্টে র্তাহার দিকে চাহিয়া রাহিয়াছেন। শুনিবেন, তিনি কি বলেন । দেখিবেন, তিনি কি করেন । ঈশানকে দেখিয়া ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলিতেছেন,— [ নির্লিপ্ত সংসারী । ] “যে সংসারী ঈশ্বরের পাদপদ্মে ভক্তি রেখে সংসার করে, সে ধন্য, সে বীরপুরুষ! যেমন কারু মাথায় দু মোণ বোঝা আছে, আর বর যাচ্ছে। মাথায় বোঝা—তবুও সে বর দেখছে। খুব শক্তি না থাকূলে হয় না । “যেমন পাকাল মাছ পাকে থাকে, কিন্তু গায়ে একটুও পাক নাই ! পানকৌট জলে সৰ্ব্বদ ডুব মারে, কিন্তু পাখা একবার ঝাড় দিলেই আর গায়ে জল থাকে না । - [ নিলিপ্ত হ’বার উপায় । ] “কিন্তু সংসারে নিলিপ্তভাবে থাকৃতে গেলে, কিছু সাধন করা চাই। দিন কতক নির্জনে থাকা দরকার, ত| এক বছর হোক, ছয় মাস হোক, তিন মাস হোক বা এক মাস হোক । সেই নির্জনে ঈশ্বরচিন্তা করতে হয়, সৰ্ব্বদা তাকে ব্যাকুল হয়ে ভক্তির জন্য প্রার্থনা করতে হয়। আর মনে মনে বলতে হয় আমার এ সংসারে কেউ নাই, যাদের আপনার বলি, তারা দু’দিনের জন্য ! ভগবান আমার একমাত্র আপনার লোক, তিনিই আমার সৰ্ব্বস্ব ; হায়! কেমন ক’রে র্তারে পাব ! * * - “ਚਭਿ। লাভের পর সংসার করা যায় । যেমন- হাতে ভেল মেখে কাটাল ভাঙ্গলে হাতে আর আঠা লাগে না। “সংসার জলের স্বরূপ, আর মানুষের মনটা যেন দুধ। জলে যদি দুধ রাখতে যাও, দুধে জলে এক হয়ে যাবে! তাই নির্জন স্থানে দই পাত্তে ।