পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খামপুকুর বাটা । ঈশান,ডাক্তার সরকার প্রভৃতি ভক্ত সঙ্গে। ২৩১ AMAMAMAMAMAMMAMA AMAeeAeeAeeAeeAMMAeeAe হয়। দই পেতে মাখন তুলতে হয়। মাখন তুলে যদি জলে রাখ, তা হ’লে জলে মিশবে না ; নির্লিপ্ত হ’য়ে ভাসতে থাকৃবে। * “ব্রহ্মজ্ঞানীরা আমায় বলেছিল, মহাশয়! আমাদের জনক রাজার মত, র্তার মত নির্লিপ্তভাবে আমরা সংসার কোরবে । আমি বল্লম, নিলিপ্তভাবে ংসার করা বড় কঠিন। মুখে বল্লেই জনকরাজ হওয়া যায় না। জনকরাজা হেঁটমুণ্ড হয়ে, উৰ্দ্ধপদ ক’রে কত তপস্ত করেছিলেন ! তোমাদের ইেটমুণ্ড বা উৰ্দ্ধপদ হ’বে হতে না, কিন্তু সাধন চাই ; নির্জনে বাস চাই । নির্জনে জ্ঞানলা ভ, ভক্তিলাভ ক’রে, তবে গিয়ে সংসার করতে হয়। দই নির্জনে পাত্তে হয় । ঠেলাঠেলি নাড়ানাড়ি ক’রলে দই বসে না । “জনক নির্লিপ্ত ব’লে তার একটা নাম বিদেহ —কি না, দেহে দেহবুদ্ধি নাই। সংসার থেকেও জীবন্মুক্ত হ’য়ে বেড়াতেন । কিন্তু দেহবুদ্ধি যাওয়া অনেক দূরের কথা। খুব সাধন চাই । “জনক ভারী বীর পুরুষ । দুখান তরবার ঘুরুতেন। একখানা জ্ঞান, একখানা কৰ্ম্ম । সংসার-আশ্রমের জ্ঞান ও সন্ন্যাস আশ্রমের জ্ঞান । ] “যদি বল, সংসার আশ্রমের জ্ঞানী আর সন্ন্যাস আশ্রমের জ্ঞানী এ দুয়ের তফাৎ আছে কি না । তার উত্তর এই যে দুইই এক জিনিস। এটাও জ্ঞান উট ও জ্ঞান—এক জিনিস। তবে সংসারে জ্ঞানীরও ভয় আছে। কামিনীকাঞ্চনের ভিতর থাকৃতে গেলেই একটু না একটু ভয় আছে। কাজলের ঘরে থাকতে গেলে যত সিয়ানাই হও না কেন, কাল দাগ একটু না একটু গায়ে লাগবেই। g “মাখন তুলে যদি নূতন হঁড়িতে রাখ, মাখন নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে না। যদি ঘোলের হাড়িতে রাখ, তা হ’লে সন্দেহ হয় । ( সকলের হাস্ত । ) “খই যখন ভাজা হয় দুচারটে খই খোলা থেকে টপ টপ ক’রে লাফিয়ে পড়ে। সেগুলি যেন মল্লিকা ফুলের মত, গায়ে একটু দাগ থাকে না । খোলার উপর যে সব খই থাকে, সেও বেশ খই, তবে অত ফুলের মত হয় না, একটু গায়ে দাগ থাকে। সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী যদি জ্ঞানলাভ করে, তবে ঠিক এই মল্লিক। ফুলের মত দাগশূন্ত হয়। আর জ্ঞানের পর সংসার খোলায় থাকলে একটু গায়ে লালচে দাগ হোতে পারে। (সকলের হাস্য ) । “জনকরাজার সভায় একটী ভৈরবী এসেছিল । স্ত্রীলোক দেখে জনকরাজা