পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i لمية i | সামগ্রী ও মোট গাঁটরীগুলি স্থাপন করিয়া সেদিনকার মত বিশ্রাম করিতে মনস্থ করিলাম । কারণ গোমস্ত ঠাকুর বলিলেন, দেবী স্থানে ব্ৰহ্মপুত্র বা সৌভাগ্যকুণ্ডে স্নান না করিয়া প্ৰবেশ নিষিদ্ধ। এ গাড়ী ও গাড়ী ষ্টীমার প্রভৃতিতে গমনাগমন করিয়া আমরা এত ক্লান্ত হইয়াছিলাম যে বিশ্রাম না করিলে অসুস্থ হইতে হইবে, এই নিমিত্ত সেদিন আর কোথাও বাহির হইলাম না । বাসাবাটী হইতে ব্ৰহ্মপুত্ৰ অনু্যান অৰ্দ্ধ মাইল, আবার সৌভাগ্যকুণ্ডও তদপেক্ষা অধিক, এই সকল কারণে সেদিন এক জঠরানাল নিবৃত্তি ভিন্ন অপর কোন কাৰ্য্যই হইল না। যাহা হউক, গোমস্তার পরিচিত লোকের নিকট বাসা পাইয়া মনে মনে ভাবিলাম, বোধ হয়—এই ভাড়ার মধ্যে গোমস্তার কিছু দস্তুরি আছে ; নচেৎ এইরূপ সামান্য টীনের ঘরের এত দূরদেশেও এক টাকা ভাড়া অসম্ভব, কিন্তু পরীক্ষণেই সে সন্দেহ দূর হইল ; কারণ আমাদের পর যে সকল যাত্রীর সমাগম হইল, তাহারা কেহ ২২ কেহ ১॥০ টাকা ভাড়া ধাৰ্য্য করিয়া আমাদের পশ্চাদ্ভাগে বাসা লইতে লাগিলেন । যাহা হউক, গোমস্ত ঠাকুর যখন জানিতে পারিলেন যে, সেদিন আমরা কোথাও যাইব না ; তখন তিনি আমাদিগকে বিশ্রাম করিতে বলিয়া প্ৰস্থান করিলেন, আবার পরীক্ষণেই ঐ গোমস্তাটিকে দেখিলাম ; আমরা যে স্থানে বাসা লইয়াছিলাম, সেই বাটীতেই অপর এক দল স্ত্রী, পুত্রসহ বাঙ্গালী যাত্ৰী আনিয়া রাখিলেন, তাহাদের প্রত্যেকের ভাড়া ১। • ধাৰ্য্য হইল। এই গোমস্তাটিী অতি মিষ্টভাষী এবং যাত্ৰী দিগকে অত্যন্ত যত্ন করেন, এই নিমিত্তে যিনি এক বার তাহার সহিত বা ক্যালাপ করিয়া এছেন, তিনিই তাহার যত্নে বশীভূত হইয়া পড়েন। এইরূপে আমরা আশ্রয় পাইয়া এবং আরও দুই-দশজন জাতি ভাইয়ের সহিত মিলিত হইয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলাম। কেন না। আমাদের পাশ্বে যে দুইখানি ঘর