বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়া বাৰ্য, মৰম সংখ্যা 7ty-fist O বিশেষ সুর থেকেই বিভিন্ন রাগিণীর উৎপত্তি হয়েছে; কথাটা যুক্তিসঙ্গত বলে’ বোধ হয়, কারণ অনেক রাগিণীর দেশের নামে নাম - যথা, সিন্ধু, গুর্জরী, মুলতান, সুরাট ইত্যাদি। একই রাগে অনেক গান হতে পারে, তাই শ্রেণী নাম দিয়েছি ; কিন্তু সেই রাগের বিশেষ লক্ষণ সবগুলিতে থাকা চাই। সে লক্ষণগুলি কি, তা” চিনতে অনেক অভ্যাস এবং শিক্ষার দরকার । প্ৰসিদ্ধ ফরাসী নাট্যকার মোলিয়েরের অঙ্কিত একটি হঠাৎ নবাব, ৪০ বৎসর বয়েসে লেখাপড়া শিখতে গিয়ে আবিষ্কার করে” আশ্চৰ্য্য হয়েছিলেন যে, এতদিন ধরে তিনি যে ভাষায় কথা কয়ে আসছেন, তা”কেই বলে গদ্য ! আমরাও হয়ত যে-সব চলিত বাঙ্গলা গান গেয়ে আসছি, অজ্ঞাতসারে তার রাগতাল বজায় রেখেই গেয়ে থাকি । যেটা অজ্ঞানে অনেক সময়ে করি, সেইটেই জ্ঞাতসারে করবার পদ্ধতির নাম শিক্ষা কেউ কেউ বলতে পারেন যে, রাগতাল বুঝলেই কি গান বেশী মিষ্টি লাগবে P-যেহেতু শেক্সপীয়র বলে গেছেন যে, অপর কোন নাম দিলেও গোলাপের গন্ধ সমানই মধুর হত ! কিন্তু রাগরাগিণীর সঙ্গে একটু আধটু পরিচয় না থাকলে আমার বোধহয় আমাদের দেশের গান সম্পূর্ণ রীপে ভাল লাগবার ব্যাঘাত ঘটে ; যেমন জাতিভেদ সম্বন্ধে কোন ধারণা না থাকা আমাদের দেশের লোককে ভালরকমে চেনবার পক্ষে বিশেষ অন্তরায় ;-রাগবিচার ও জাতবিচার দুই প্ৰথাই আমাদের এমন মজ্জাগত। তা’ ছাড়া শুধু গাবার জন্য ততটা না হোক, গান রচনা করবার জন্যে, বা গুণীর গুণপনার মাত্ৰা বোঝবার জন্যে, রাগবোধ কিছু থাকা নিতান্ত দরকার। অবষ্ঠ এই অল্প সময়ের মধ্যে আমি তোমাদের রাগরাগিণী