বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծՀ8 সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। করিয়া অপর দুইটী তাহার অনুসরণ করা ব্যতিরেকে হইতে পারে না । গুণ গধানভাবটও বৈষম্য অর্থাৎ মূনাতিরিকতা ব্যতিরেকে হয় না। বৈষমটাও উপমর্দ্য উপমৰ্দ্দকভাব অর্থাৎ অপর দুইটীকে হীনবল করিয়! স্বয়ং গুণৰল হওয়া ব্যতিরেকে হইতে পারে না, অতএব মহাভিাবে পরিণাম আর একটা { গ্রথমটা গ্ৰলয়কালে ত্রিগুণ অর্থাৎ প্রধানরূপে দৃশ পরিণাম, দ্বিতীয়ট স্বষ্টিকালে মহদাদিরূপে বিসদৃশ পরিণাম)। যাগ হউক, একবিধ কারণ প্রধানের নানাবিধ প্রবৃত্তি অর্থাৎ বিচিত্র কার্যারূপে পরিণাম কিরূপে হয় ? এইরূপ আশঙ্কায় বলিয়াছেন,—সলিলের স্তায় পরিণামবশতঃ ওরূপ হইয়া থাকে, যেমন মেঘমুক্ত জল এক রস ( শাস্ত্রকারগণ জলের স্বাভাবিক, মধুর রস * স্বীকার করেন ) হইয়াও তত্তং স্থান ( নারিকেলাদির বন) প্রাপ্ত হইয়া নারিকেল, তাল, বিব, চিররিব (করশ্ন ), তিন্দুক ( গাব), আমলক ( আমলা ), গাচীনামলক (পানীয়ামলা) ও কপিথ (কাবেল) ফলের সরূপে পরিণত হইয়া মধুর, অম, লবণ, তিক্ত, কটু ( ঝাল ) ও কষায়রুপ বিভিন্ন রসে পরিণত হয়; তদ্রুপ ( জীবের অদৃষ্ট বশত: ) এক একটা গুণের প্রধানরূপে আবির্ভাব হইলে উহাকে আশ্রয় করিয়া অগ্ৰধান গুণ সকল নানাবিধ পরিণাম অর্থাৎ মহদাদি কার্য উৎপাদন করে, “প্রতি-গতি-গুণাশ্রয়-বিশেষাৎ” কথা ईब्र এই কথাই বলা হইয়াছে,– এক একটা গ্রধান গুণকে আশ্রয় অথাৎ অরলম্বন করায় যে বিশেষ অর্থাৎ বিচিত্রতা জন্মে, উহা দ্বারাই বিচিত্র পরিণাম হইয় থাকে ॥ ১৬ ৷৷ - - মন্তব্য। “চলং হি গুণ বৃত্তং" গুণত্রয়ের স্বভাব চঞ্চলত অর্থাৎ সৰ্ব্বদা পরিবর্তন, স্বতরাং প্রলয়কালে কাৰ্য্যৰূপে বিসদৃশভাবে পরিণত হইতে ন পারিলেও নিজ নিজ রূপে পরিণত হয়, ইহাকেই সাম্যাবস্থায় সদৃশ পরিণাম বলে । সদৃশ পরিণাম স্বীকার করিলে “পুরুষেরও পরিণাম হউক” অর্থাৎ গুণত্রয় যেমন গ্ৰলয়কালে নিজ নিজ রূপে পরিণত হয়, পুরুষ সকলও ঐরূপ আপন আপন রূপে পরিণত না হয় কেন ? এরূপ আশঙ্কার কারণ নাই.. গুণের স্থায় পুরুষ সকলের সদৃশ পরিণাম হটতে পারে না, কারণ, একটা অবস্থা •ইতে অন্ত অবস্থা পাওয়াকেই পরিণাম বলে, গুণত্রয় স্বাক্টকালে বৈষমা অবস্থায় বিষদৃশ পরিণামে মহদাদিভাবে থাকে, সুতরাং ঐ বৈষম্য অবস্থা হইতে এলয়কালে সাম্যাবস্থা বশতঃ সদৃশ পরিণামের সম্ভব, পুরুষের কোন কালেই অবস্থান্তর নাই, “শালগ্রামের শোয় বস।”