পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

。なbr সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। অনুবাদ যাহার দ্বারা অর্থের বোধ হয় তাহাকে প্রতায় বলে, এ স্থলে 'প্রতায় শব্দের অর্থ বুদ্ধি, উত্থার সর্গ অর্থাৎ কাৰ্য্য' উগর মধ্যে বিপৰ্য্যয় শব্দে অজ্ঞান অর্থাৎ অবিদ্যাকে বুঝায়, উহাও বুদ্ধির ধৰ্ম্ম । ইন্দ্রিয়ের বিকলতা (বিঘাত) বশতঃ অশক্তি.অর্থাৎ অসামর্থ্যও বুদ্ধির ধৰ্ম্ম । তুষ্ট ও সিদ্ধিকে অগ্রে বলা যাইবে, ঐ উভয়টও বুদ্ধির ধৰ্ম্ম । বিপৰ্য্যয়.অশক্তি ও তুষ্টির মধ্যে জ্ঞান ভিন্ন ধৰ্ম্মাদি সাতটার যথাসম্ভব অন্তর্ভাব। সিদ্ধিতে জ্ঞানের অন্তর্ভাব বুঝিতে হইবে। বিস্তারিতভাবে বলিতেছেন, ( সক্ষিপ্তভাবে পূৰ্ব্বোক্ত চাৰিটা বলা হইয়াছে) তাহার ভেদ পঞ্চাশ গ্রকার। ( প্রশ্ন ) কেন ওরূপ হয় ? (উত্তর ) গুণত্রয়ের বিষমতা হেতুক যে অভিভব হয়, তদ্বশতঃ ওরূপ হইয়া থাকে । গুণসকলের বিষমতা এইরূপ,— এক একটী অথবা দুই দুইটী গুণের অধিক-বলতা ( আধিক্য), অথবা এক একটা অথবা দুই দুইটর নুনিবলত (অম্লতা)। উক্ত নূনতা ও আধিক্য যথাসম্ভব কাৰ্য্যবগে মন্দ, মধ্য ওঁ আধিক্য মাত্রানুসারে জানা গিয়া থাকে । ইহাকেই গুণ সকলের বৈষম্য বলে, উহা দ্বারা উপমর্দ অর্থাৎ এক একটর অথবা দুই দুইটর যে অভিভব, তাহা দ্বারা বুদ্ধি-সর্গের পঞ্চাশ প্রকার ভেদ হইয়া থাকে ॥ ৪৬ ॥* মন্তব্য । ইজিয়ের দ্বারা উপনীত বিষয়ে বুদ্ধির অধাবসায় হইয় থাকে, সুতরাং ইঞ্জিয়ের বিঘাতের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিরও তত্তদ্বিযয়ে বিঘাত ইয়া উঠে । বিপর্যায়ে অজ্ঞানের, অশক্তিতে অনৈশ্বৰ্য্য, অবৈরাগ ও অধৰ্ম্মের, সিদ্ধিতে জ্ঞানের এবং তুষ্টতে ধৰ্ম্ম, বৈরাগ ও ঐশ্বর্ষের অন্তর্ভাব বুঝতে হইবে।

  • গুণত্রয়ের মধ্যে এক একটার অধিকবলত উক্ত ইলে অপর দুষ্টটর হীনবলত হয়, এক একটর নুন্নবলত হইলে অপর দুই দুইটার অধিকবলতা হয় ইহা স্বভাবসিদ্ধ, যাহা ঘটিয়া থাকে কৌমুদীতে তাহাই প্রদর্শিত হইয়াছে মাত্র। একটর হীনবলতা উক্ত হইলে অপর দুইটীর আধিক্য আপনা হইতেই বুঝা যাইতে পারে। নূ্যনত ও আধিকাও নানাবিধ প্রকারে হয়, এই কারণেই মাত্র তিনটা গুণ হইতে কাৰ্য্যবর্গের অসংখ্য ভেদ সম্পন্ন হইয়ু থাকে ॥ ৪৬ ৷ - -

কৌমুদী। তানেৰ পঞ্চাশন্তেদান গণয়তি । অনুবাদ। পূৰ্ব্বোক পঞ্চাশটা ভোকে পৃথক পৃথক করিয়া গণনা করিতেছেন ।