Ջ ob- সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। উক্ত স্বলে ভাগ্যই কারণ, অপর কিছু নহে । এই গ্রকার উপদেশে ভাগ্য নামক যে তুষ্ট হয় তাঙ্গকে বৃষ্টি বলে। - বাহ (অনাত্মাকে অধিকার করিয়া উৎপন্ন ) তুষ্ট বলিতেছেন,—বিষয়বৈরাগ বশতঃ বাহ-তুষ্টি,পাঁচ প্রকার হইয় থাকে। গ্রকৃতি, মহৎ ও অহঙ্কারাদি অনাত্ম সকলকে আত্মা বলিয়৷ জানেন, এরূপ . ব্যক্তির বিষয় বৈরাগ্য হইলে যে তুষ্টি হয় তাহাকে বাহ বলে, কারণ, উক্ত ব্যক্তির আত্মজ্ঞান, ন থাকার দরুণ অনাত্মবৰ্গক লক্ষ্য করিয়া প্রবৃত্তি জন্মিয়াছে। প্রদর্শিত তুষ্টি সকল বিষয়-বৈরাগ্য হইলেই ইয়া থাকে, বৈরাগোর হেতু পাচটা বলিয়া বৈরাগ্যও পাচ প্রকার হয়, বৈরাগ্য পঁাচ প্রকার বলিয়া তুষ্ট পাচ গ্রকার হইয়া থাকে যাহা দ্বার উপরত অর্থাৎ উদাসীন হয়, তাহাকে উপরম বলে, উহার অর্থ বৈরাগ্য,.বিষয় ( শব্যাদি ভোগ্য ) হইতে উপরমকে বিষয়োপরম বলে। উপভোগের কৰ্ম্ম শব্দাদি বিষয় পাচ প্রকার, সুতরাং উহ কইতে উপরমও পাচ প্রকার। তাগ এইরূপ,—উপার্জন, রক্ষা, ক্ষর, উপভোগ ও হিংসারূপ দোষের জ্ঞানরূপ কারণ হইতে উৎপন্ন উপরম পাঁচ প্রকার চয়, তাগ এইরূপ—সেবা প্রভৃতি ধনাগমের উপায়, উহার সেবকাদিকে দুঃখিত" করে, অতি-পরাক্রান্ত অবিনয়ী ধনাঢ়োর দ্বারস্থ বেরধারীর গ্রচণ্ড অৰ্দ্ধচন্দ্র (গলা ধাক্কা ) হইতে জাত কষ্টকে অনুভব করিয়া,কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি সেবা করিতে তৎপর হয় ? এই একার অপরাপর ধনেপার্জনের উপায় সকলও দুঃখকর বলিয়৷ বিষয়-বৈরাগ্য জন্মিলে যে তুষ্ট হয় তাহাকে পার বলে। এই প্রকারে “উপার্জিত ধন রাজা, দস্তু, অগ্নি ও জলপ্লাবনাদি হইতে বিনষ্ট হয়, সুতরাং উহার রক্ষা করা মহা কষ্টকর," এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে বিষয়-বৈরাগ্য জঙ্গিলে যে তুষ্ট জন্মে, ঐট স্ব-পার বলিয়া কথিত হয়। এই প্রকারে, মহাকষ্টে উপার্জিত ধনেৰ উপভোগ করিতে করিতে ক্ষয় গুয়, ধনের ক্ষয় চিন্তা করিতে করিতে বিষয়-বৈরাগ্য জন্মিলে cष छूट्टै इब, সেইটী তৃতীয়, উহাকে পরাপর বলে। এই গ্রকারে, শঙ্কারি ভোগ করিতে করিতে তৃষ্ণার বৃদ্ধি হয়, উপভোগা বস্তুর অভাব হইলে উক্ত ভৃষ্ণই বিষয়-লোলুপকে দুঃখিত করে, সুতরাং বিষয় উপভোগে দোষ চিন্তা করিক্তে করিতে যে তুষ্ট হয়, সেইটা চতুর্থ উহাকে অমুত্তমান্ত বলে। এই প্রক্ষারে, প্রাণিগণের পীড়ন না করিয়া বিষয়ের উপভোগ সম্ভব হয় না, স্থায়াং,ভোগে হিংসারূপ দোষ দর্শন বশতঃ বিষয়-বৈরাগ্য হইলে বে- তুষ্টি ।
