বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१० - সাজ্যদর্শন । [ যুক্তি ও উহাতে তর্ক প্রয়োগ কর, তর্ক প্রয়োগ করিলে হয় ত উপাধি-টি নিষ্কাশিত হইয়া আসিবে, না হয়, শঙ্কা দূর হইবে। - তর্ক,--“কাৰ্য্য [ জন্য ] মাত্রেরই অব্যবহিত পূৰ্ব্বে কারণ [ জনক সংলগ্ন থাকে। কস্মিনকালেও ইহার অন্যথা হয় না। এই নিয়মানুসারে উৎপন্ন ধূম, বহির, কাৰ্য্য বলিয়া, উহার মূলদেশে বহ্নিকে অবশ্যই সংলগ্ন থাকিতে হইবে। যদি উদগত ধূমের মূলদেশে বহি না থাকে বল—আর ধূম যদি বহ্নিকে অতিক্ৰম করিয়া অন্যত্র হইতেও উদগত হয় বল—তবে ধূম, বহ্নিভিন্ন অর্থাৎ জলাদি পদার্থ হইতেও জন্ম লাভ করে, ইহাও বলিতে পার। কিন্তু ধূম্ৰ বহ্নি-ব্যতীত জন্ম লাভ করিতে পারে না, সুতরাং অবশ্য জায়মান বা দৃশ্যমান ধূমদণ্ডের মূলে বঙ্কুি সংলগ্ন আছে।” এইরূপ তর্ক সংযোগ দ্বারা কথিতবিধ উপাধিদ্বয়ের সম্ভাব অথবা আশঙ্কা নিরাকৃত কর-উপাধি নিরাকৃত হইলেই ব্যাপ্তির স্বাভাবিকত্ব স্থির হইবে। * এ জগতে স্বাভাবিক ব্যাপ্তি তিন প্রকার ভিন্ন চতুর্থ প্রকার নাই। তাহার একের নাম অন্বয়-ব্যাপ্তি, দ্বিতীয়ের নাম ব্যতিরেকব্যাপ্তি, তৃতীয়ের নাম উভয়াত্মক অর্থাৎ অস্বয়-ব্যতিরেক । [ অন্বয়ও

  • তর্ক স্বয়ং প্রমাণ নহে। উহা প্রমাণ প্লুত সৰ্ব্ব প্রকার সংশয়ের নিরাশকমাত্র । যেখানে যে প্রকার তর্কের উপযোগিতা থাকে, সেখানে সেই প্রকার তর্কের নিয়োগ করিতে হয় । তর্কের ভিত্তি কাৰ্য্য কারণ ভাব। কাৰ্য্য কারণ ভাব বজায় রাধিয়া জ্ঞানের শরীর পরিষ্কার করার নাম তর্ক। ধূম ও বহির *ীড়াবিক ব্যাপ্তি অাছে কি না জানিবার জন্য যে তর্ক অবতারণ করিতে হুইবে, "াহীও কাৰ্য্য-কারণভাব ঘটত। প্রদর্শিত তর্কের আকার দার্শনিকের সংস্কৃত छाषा “धूमी यदि वज्ञिव्यभिचारी खात् तदा धूमजथीऽपि न खात् ।।' ইত্যাদি প্রকারে ব্যক্ত করিয়া থাকেন। " -