পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ļo চর্চা সাংসারিক লোকের আপন হইতেই ঘটিয় উঠে । অতএব, মনুষ্য যে যে বিষয়ের সাদর চর্চা করিবে, কিছুকাল পরে চর্চাপ্রবণ মন, সেই সেই বিষয়েই আমোদ পাইবে । মনের যদি এরূপ চর্চ প্রবণতা গুণ না থাকিত, তা হইলে এ সংসার একরূপই থাকিত, নানা সম্প্রদায়ে কদাচ বিভক্ত হইত না । এক সম্প্রদায়ের মধ্যে আজ কাল, যেমন কাবা, নাটক ও ইতিহাসাদির চর্চা নিবন্ধন তজাতীয় গ্রন্থপাঠে রুচি বা চিত্তপ্রাবণ্য দৃষ্ট হইতেছে; এইরূপ, জ্ঞানশাস্ত্রের চর্চা করিলেও কালে তাহাদের সাহাতেই রুচি বা চিত্তপ্রাবণ্য জন্মিতে পারে। চচ্চ ও কাবারুচিতার প্রভাবে তাহার। যেমন কাব্য পাঠে প্রভূত আনন্দ প্রাপ্ত হইতেছেন—চর্চা করিলে তৰ্কশাস্ত্রেও সেই রূপ আমোদ লাভ করিতে পারেন। যদি ৰল, বিচারশাস্ত্র অত্যন্ত কঠিন, বড় নীরস, সহজে বুঝা যায় না, তন্নিবন্ধন তাহাতে আমোদও পাওয়া মায় না; সুতরাং আমরা জ্ঞানচচ্চয়ি বিরত আছি। এই আপত্তির উত্তর এই যে, চচ্চ কর ৷ চচ্চর্ণ করিলে পূৰ্ব্বকথিত দৃষ্টান্ত অনুসারে তোমাদের বৈচারিক ভাব, ভঙ্গী, শব্দপরিপাটী সমস্তই আয়ত্ত হইৰে । তখন আর সে কঠিন, সেই ন বুকা, কিছুই থাকিবে না। এখন যে তোমরা কাব্য ইতিহাসরি ভাবভঙ্গী ও শল্পপরিপটা প্রভৃতি সহজাত শক্তির ন্যায় অনায়াসে হৃদয়ঙ্গম করিতেছ—এরূপ হৃদয়ঙ্গম করিবার শক্তি কি তোমাদের সহজাত শক্তি ? কদাপি নহে। এ শক্তিও তোমাদের চচ্চ বা অভ্যাস দ্বার সঙ্কলিত হইয়াছে জানিবে। আর এক কথা । জ্ঞান শাস্ত্রের চচ্চ বাতিরেকে মানব মনের মলাস্ত্র অপগত হয় না। বাকু সৌষ্টবও জন্মে না। শিশু দিগের ভূল্য সমৃদ্ধ জ্ঞান ও ট্রবক্তৃত্ব চিরকালই থাকে। যদি ৰল,তাহতে