বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈপ্সিত ফল অবশ্যই লন্ধ হইবে। যে সংস্কৃত ভাষা এক্ষণে বর্ষীয়লী হুইয়াছেন, জীণতম হইয়াছেন, একবার সেই সংস্কৃতভাষার শৈশব কাল চিন্তা কর–বুঝতে পারবে যে, বঙ্গভাষাও ইচ্ছানুরূপ ফলপ্রসব করিতে পারবে কি না। প্রথমকালে সংস্কৃতভাষায় ক্টি ছিল –কেবল বস্তুবোধক গুটিকতক নাম, আর ক্রিয়াবোধক গুটিকতক শব্দ (ধাতু) ছিল। যে শশধরকে আজ আমরা শত শত নামে উল্লেখ করিতেছি, তাহার দুইটি মাত্র নাম ছিল। ক্রমে দশ, পঞ্চদশ, বিংশতিটি ইহা নিঘণ্টর পূৰ্ব্বে) নাম প্রকাশ পাইল। এইরূপে ক্রমে শব্দ ও শব্দ বিন্যাস ভঙ্গী অর্থ ও অর্থ চাতুৰ্য্য বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। এখনও ব্যাকরণ হয় নাই । ক্রমে নাম, ধাতু, আখ্যাত ও নিপাত,-শব্দের এই চতুৰ্ব্বিধ জাতি স্থির হইল। এই সময় এক এক-ট করিয়া শব্দ অধ্যয়ন করিতে হয়— শব্দ পারায়ণের শেষ হয় ন—মধ্যেতাদিগের অত্যন্ত ক্লেশ। এক সময়ে যে সংস্কৃতভাষার এবংবিধ অবস্থা ছিল, তাহ বেদ দেখিলেই প্রতীতি হয়। যথা,— “द्वइस्प्रतिरिन्द्राय दिव्यं बर्षसहस्र' प्रतिपदपाठविहितानाम शब्दानां शब्दपारायणं प्रोवाच, नान्त' जगाम ॥” অর্থ এই যে বৃহস্পতি বক্তা, ইন্দ্র অধ্যেতা, অধ্যয়নকাল দৈবপরিমাণের সহস্ৰ বৎসর। তথাপি এক একটি করিয়া অধ্যয়ন করিতে হয় বলিয়া শব্দ পারায়ণ শেষ হয় নাই। বোধ হয় এই উন্নতির সময়েই ব্যাকরণের সৃষ্টি হইয়াছিল। এবংবিধ সময়েই ব্যাকরণের আবশ্যক । g ব্যাকরণ বলিলে এক্ষণে পাণিনি-ব্যাকরণ বুঝায়। প্রথমপ্রস্থত