পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ηλο আমরা কদাচিৎ প্রতিবন্ধক বশতঃ কার্য্যাবসান বিদ্যাকে কার্য্যে উপনীত করিতে না পারি—তথাপি তাহার আন্দোলন করা উচিত। হেতু, তদ্বারা কোন সময়ে না কোন সময়ে চিত্তোৎকর্ষফলের লাভ সম্ভাবনা আছে। এইরূপ, অনুভবাবসান বিদ্যাকে অনুভবে উপনীত করিতে না পারিলেও তাহার সেঞ্জা করা কৰ্ত্তব্য ; কেন না, তাহার দ্বারা তদীয় অবাস্তরফল লাভের প্রত্যাশা আছে। অন্য কিছু না হউক, অন্ততঃ তৃপ্তিলাভের সম্ভাবনাও আছে। মনে কর, বেদবিদ্যা (পূৰ্ব্বকাণ্ড ) এক-টি কাৰ্য্যাবসান বিদ্যা ; কেন না যাগ-যজ্ঞাদি ক্রিয়াকাণ্ডু নিম্পাদনের নিমিত্ত উহার আবির্ভাব। যদিও আমরা যাগ-যজ্ঞ করি না, তথাপি উহা জ্ঞানে রাখিতে দোষ কি? বেদ পড়িলে অন্য ফল না হউক,–পুরাকালের রীতি, নীতি, মানব ও মানবীর আচার ব্যবহার প্রভৃতি ত জানা যাইতে পারিবে !—অস্ততঃ দশটা কথা বলিবার ত অবলম্বন হইতে পারিবে !— “पुरा किल वेदमधीत्य खरितं बज्ञारी भवति ।” আদিম কালের ব্রাহ্মণের অনেকে কেবল বক্ত হইবার জন্যই বেদ, পড়িতেন। না পড়িবেন কেন ?—বক্তৃত্বশক্তি কি মুখসাধন সামগ্রী নহে ?—অতএব, কোন না কোন দার্শনিকপদার্থ বাঙ্গালাভাষায় আনীত হইলে এবং তাহার,আলোচনা করিলে, কিছুমাত্র অপকার নাই—প্ৰত্যুত কোন না কোন উপকার আছে। কেহ কেহ বলেন, “না,—দর্শনশাস্ত্রের আলোচনায় কিছুমাত্র উপকার নাই। দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন করিলে মনুষ্য কেবল বাচাল হয়, আর বিচারমল্প হয়। আর কিছুই হয় না। দর্শনশাস্ত্রের সমস্তই কল্পনাময়, পরীক্ষার বাহির, মুক্তরাং তদুল্লিখিত ফলও খপুপতুল্য।