পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཐོ༽ ব্যাধি, আগন্তুক অনিই অর্থাৎ কণ্টকবেধাদি, শ্রম, আর অন্নাদি ইষ্ট বস্তুর অভাব বা অপ্রাপ্তি,—এই চারি প্রকার কারণ হইতে শারীরদুঃখ উৎপন্ন হয়। “तदातत्प्रतिकाराब কৰিবা। - श्राधिव्याधि प्रशमन' क्रियार्थीगइयेन तु ॥” ভৈষজ্য দ্বারা ব্যাধি, উপানং প্রভৃতি দ্বারা কণ্টক বেধাদি, অনায়াস কৰ্ম্ম দ্বারা শ্রম, ও অন্নাদি আহরণ দ্বারা ইষ্ট বস্তুর অভাব জনিত দুঃখের শান্তি হয়। চতুবিধ উপায় দ্বারা যেমন কথিত চতুবিধ দুঃখের শান্তি করা যায়—তেমনি আবার একমাত্র উপায় দ্বারাও উক্ত চতুবিধ দুঃখের নিবৃত্তি করা যায়। সে উপায় কি ? না অবিচিন্তন ; অর্থাৎ তত্ত্বৎকালে তত্তং বিষয় হইতে মনকে আচ্ছিন্ন করিয়া অন্যত্র স্থাপন ( যাহাকে আমরা ভুলিয়া থাক বা অন্যমনস্ক বলিয়া ব্যবহার করি)। अज्राख् अनामनक्ष অবস্থায় যে, বাহ্য মুখ দুঃখাদির অনুভব হয় না, তাহা প্রসিদ্ধই আছে। অতএব মনকে ইচ্ছানুরূপ আয়ত্ত ও আত্মেচ্ছার অধীন করিবার শক্তি কাহার আছে ?—তাদৃশ শক্তি না ভৈষজ্য বিদ্যার, না শিল্পবিদ্যার, না জ্যোতিবিদ্যার,—কাহারও নাই। উহা কেবল জ্ঞানাঙ্গশাস্ত্রেরই আছে। (জ্ঞানাঙ্গশাস্ত্ৰ—যোগ ) । অপিচ, ভৈষজ্য বিদ্যা যে অন্যের দুঃখ হরণ করেন বলিয়া শ্লাঘা করেন—ভালই—কিন্তু, তাহাকে আর এক কথা জিজ্ঞাসা করা যাউক —“দুঃখ উপস্থিত হইলে পর তাহার নিবারণ করা ভাল ? কি এক বারে দুঃখোৎপত্তির মূলোচ্ছেদ করিয়া দেওয়া ভাল ?—এস্থলে ইচ্ছা না থাকিলেও ভৈষজ্যবিদ্যাকে বলিতে হইবে যে, তাহার মূলোচ্ছেদ করাই ভাল। যদি তাহাই স্থির হয়, তবে, র্তাহাদের এমন কি ঔষধ