বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাম্যদর্শন। [লক্ষণ ও জানুহইল, তবে দর্শন শাস্ত্র বলিলে আমরা এই অর্থসংগ্ৰহ করিতে পরি;ে#শাস্ত্রে পূৰ্ব্বোক্ত তত্বের নির্ণর আছে তাছাই দর্শন শাস্ত্র দর্শনঞ্জঞ্জানশাস্ত্র একই বস্তু। (ভারতবর্ষীয় জ্ঞান শাস্ত্রের *** . প্লাঙ্গ রাষ্ট্রবিজ্ঞান শাস্ত্রেরও প্রবেশ থাকা দৃষ্ট হয়)। ভারত্ববর্ষে যত প্রকার দশা আছে, তত্তালতের মত এক রূপ ন হইলেও, মুত্ত্বি (অবস্থাবিশেষ) এ অংস্ত্ৰে কাহারও বিবাদ নাই। কেবল মুক্তির স্বরূপ ও মুক্তির উপায়, এই দুই অংসেই সম্পূর্ণ বিবাদ। কেহ কেহ মুক্তির স্বরূপ ও উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিতে গিয়া ঈশ্বর মানেন, বেদ মানেন, অদৃষ্ট মানেন। কেহ বা ঈশ্বর মানেন না, অদৃষ্ট মানেন, বেদও মানেন। কেহ বা তত্রিতয়ের কিছুই মানেন না। যাহারা বেদ মানিলেন না, তাহারা নাস্তিক-খ্যাতি প্রাপ্ত হইলেন। যাহার বেদ মানিলেন, তাহারা ঈশ্বর না মানিলেও আস্তিক থাকিলেন। সাংখ্যকার কপিল, ঈশ্বর মানেন না। প্রচলিত ক্রিয়া কাণ্ড যাহার মত, সেই মীমাংসা দর্শনকার জৈমিনিও ঈশ্বর মানেন না। তথাপি তাহারা আস্তিক। (ইহাদের মতে বেদ ও পরলোক অমান্য কারীরাই নাস্তিক)। কেবল একমাত্র বেদের মর্য্যাদা-বলেই ইহার নাস্তিক অপবাদ হইতে মুক্ত আছেন ; আর, বৌদ্ধ চাৰ্ব্বাক প্রভৃতির বেদ অমান্য করিয়াই নাস্তিক অপবাদ প্রাপ্ত হইয়াছেন। ফল, বিবেচনা করিতে গেলে, ঈশ্বর অপলাপ কারীরাই বাস্তবিক নাস্তিক। নাস্তিক ও আস্তিক, উভয় দর্শন মিলিত করিলে সমুদ্ৰায়ের সংখ্যা পাচ হয়। আস্তিক দর্শন তিন ও নাস্তিক দর্শন দুই। প্রাচীন আৰ্য্য গ্রন্থেও এইরূপ সিদ্ধান্ত দৃষ্ট হয়। অষ্টাদশ বিদ্যার গণনা স্থলে সাংখ্যকে ধৰ্ম্মশাস্ত্রের মধ্যে গণ্য করিয়া “মীমাংসা নায় এব চ” এই