বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w 8 সাজ্যদর্শন। সংক্ষিপ্ত সমুদ্ৰায়ে দ্বাদশ দর্শন। এই সকল দর্শনের উৎপত্তিকাল, বা অগ্র-পশ্চাৎ-ভাৰ নিঃসন্দিগ্ধ রূপে নির্ণয় করা যায় না ; কারণ, এতৎসম্বন্ধে কোন বিশ্বস্তলিপি নাই। অনুমান করিয়া নির্ণয় করাও সুকঠিন ; কেন না, পরস্পরের প্রতি পরস্পরের কটাক্ষ দৃষ্টি দেখা যায়। যদি এক - so

  • T
  • “শুক্ৰশোণিতের পরিণামজনিত এই দৃশ্যমান দেহই আত্মা, এত দতিরিক্ত কোন স্বতন্ত্র আত্মা নাই,--এই সিদ্ধান্তের প্রতিপাদন যে শাস্ত্রে আছে তাহার নাম দেহাত্মবাদ ।

এই দৃশ্যমান স্থল দেহ আত্মা নহে, ইহাতে যে চৈতন্যসংযোগ আছে, তাহাই আত্মা; কিন্তু সে চৈতন্য দৈহিক পরিণামবিশেষের ধৰ্ম্ম, তাহ দেহ যন্ত্রের পরিপূর্ণত কালে উৎপন্ন হয়—অসম্পূর্ণতীকালে ধ্বংস হয়,—ইহা প্রতিপাদন ও মনই আত্মা ইহার নির্ণয় নিমিত্ত দৈহিক পরিণামবিশেষ বাদের প্রবৃত্তি। এ জগতে সৎ অর্থাৎ সভ্যতা বস্তু কিছু নাই ; দেহ নষ্ট হইলেই মুক্তি ; এই সিদ্ধাস্তের অনুশাসন যাহাতে আছে তাহার নাম সৰ্ব্বশূন্যবাদ। বিজ্ঞান অর্থাৎ প্রত্যয় বা অালয়বিজ্ঞান নামক বুদ্ধির মিথ্যাপ্ত নাই-তবে কি না তাহা ক্ষণিক । * উৎপন্ন হইতেছে ধ্বংস হইতেছে এই রূপ বিজ্ঞান ধারাই (প্রবাহ) সত্য। তদ্ভিন্ন প্রত্যেক বিজ্ঞান ক্ষণিক। এই সত্য বিজ্ঞান ধারাই জগদাকারে ক্রীড়া করিতেছে। যাহা বাহিরে দৃষ্ট হয়, উহার অস্তিত্ব বাহিরে নহে সকলই অন্তরে এবং ঘট, পট, গৃহ, কুড়া, নদ, নদী, সাগর, শৈল প্রভৃতি যে কিছু বাহ্য দৃশ্য দেখিতেছ—উহার একটিও কথিত নামক বস্তু নহে । সকলই প্রতায় বা অালয় বিজ্ঞান ; এই রূপ যে শাস্ত্রে বলে, তাহার নাম ক্ষণিক বিজ্ঞান বাদ । ক্ষণিকালুমেয়বাহাবস্তুবাদ প্রায় এইরূপ, প্রভেদ এই যে,উহার লাহাবস্তুর অস্তিত্ব একবারে বিলোপ করে না। বলে, বাহ্যবস্তুর উপলব্ধি অন্তরে হয় বটে কিন্তু তাহার সত্তা বাহিরে । তাহাব প্রত্যক্ষ হয় না, তবে কি না প্রত্যয়ের কোন আলম্বন থাকা উচিত, এই বলিয়া বাহা বস্তুর সত্ত্বা বাহিরে থাকা অনুমিত হয়। প্রত্যক্ষবাহ্যবস্তুবাদীরা বলেন, “ন-বাহ্য বস্তু বাহিরে বটে, প্রত্যক্ষসিদ্ধও বটে,—পরস্তু তাহু ক্ষণিক । আলয় বিজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে জন্মায়আবার তৎসঙ্গে বিলীন হয়। হিমালয় যে চিরকাল আছে, এই প্রতীতি কেবল প্রত্যয় প্রবাহের মহিমা। উহা পূৰ্ব্বাবধি অথওদণ্ডায়মান নহে।