পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ye সাংখ্যদর্শন । সংক্ষিপ্ত গ্রন্থে যেরূপ নিরপেক্ষ রচনা থাকা উচিত, তাহাতে তাহই আছে। * ৪র্থ। পরভবিক গ্রন্থে কৌশলাধিক্য, আয়তনে বিস্তার ও পদার্থ সমন্বয়ের সংক্ষেপ হইয়া থাকে। কাপিল দর্শন আদিম হইলে এ যুক্তিও রক্ষা পায়। কপিল চতুবিংশতি পদার্থ দ্বারা যাহা নিৰ্ব্বাহ করিয়াছেন, গৌতম তাহ ষোড়শ পদার্থে, কণা তাহা সপ্ত পদার্থে, পূৰ্ব্ব মীমাংসা তাহা ষটপদার্থে নিৰ্ব্বাহ করিয়াছেন। পূৰ্ব্ব মীমাংস যাহা ষটপদার্থে, উত্তর মীমাংসা অর্থাৎ বেদান্ত তাহ এক পদার্থেই পর্যাপ্তকরিয়াছেন। এই সকল দেখিয়া আমাদের বোধ হয় যে, সাংখ্যদর্শনই আদিম ; পাতঞ্জল উহার সমসাময়িক, ন্যায় তৎপরতবিক, তৎপরে বৈশেষিক, তৎপশ্চাৎ পূৰ্ব্বমীমাংস, বেদান্ত সৰ্ব্বকনিষ্ঠ। কোন মতে সংখ্যা হইতে সাখ্য' এই পদ নিম্পন্ন হইয়াছে। যথা—

  • सेंख्यां प्रकुर्व्वैते वैव प्रक्लतिश्च प्रचचते ।

तत्त्वानि च चतुर्नैिश्त् तेन साङ्ख्याः प्रकीर्त्तिताः ।।” ইহার অর্থ এই ষে.পদার্থ সংখ্যার নিৰ্দ্ধারণ পূৰ্ব্বক জ্ঞানোপদেশ থাকাতেই কাপিল দর্শন সাংখ্য’ নামে বিখ্যাত হইয়াছে। কেহ বলেন, তাহাও নহে। তবে কি ? না, সংখ্যাশব্দের অর্থ সম্যক্ জ্ঞান, সম্যক্ জ্ঞানের উপদেশ যে শাস্ত্রে আছে, তাহারই নাম সাঙ্খ্য ; পরস্তু সৰ্ব্ব প্রথমে ইহার ( কাপিল দর্শনের ) আবির্ভাব হওয়াতেই লোকে ইহাকে সাখ্য' নামে প্রখ্যাত করিয়াছে। মহর্ষি কপিলের জন্ম ভূমির নির্ণয় হয় না । তাহা না হউক,ইনি যে একজন আর্য্যাবৰ্ত্তীয় ঋষি, তাহাতে আর সংশয় নাই। পুরাণে Tনক সাখার্শনই জমি হয়, তবে এই তত্ব সমাস সূত্রই তাহা । আখমাসে সাখ্য অর্থাৎ পুরাতন কপিলের সাস্থ্য বা সাক্ষাৎ লিপি লোপ হইয়া গিয়াছে।