পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংবাদ ।] সাংখ্যদর্শন। }} বর্ণিত আছে যে,কপিল দেবহুতির পুত্র এবং বিষ্ণুর অবতার বিশেষ। কিন্তু তিনি যে কোন কপিল, নব্য কি প্রাচীন, তাহ বলা যায় না। ੇ স্মৃতি, পুরাণ, সমস্ত আর্ষ গ্ৰন্থই সাঙ্খা মতে পরিব্যাপ্ত আছে। সাখা মত যে অতদূর বিস্তৃত হইয়াছিল, তাহ কেবল কপিল হইতে হয় নাই, ক্রমে তাহার শিষ্য-পরম্পরা হইতেই হইয়াছে । ংখ্যশাস্থের আদি-আচাৰ্য্য কপিল—তৎশিষ্য মাহুরি ও বো, আহুরির শিষ্য পঞ্চশিখাচাৰ্য্য—তৎশিষ্য ঈশ্বীকৃষ্ণ। কেহ বলেন, ষ্টেশ্বরকৃষ্ণ ঋষি-শিষ্য নহেন y। W আমরা আসুরির গ্রন্থ দেখিতে পাই না । পঞ্চশিখের গ্রন্থ না পাইলেও তাহার খণ্ড খণ্ড সুত্র অনেক পাওয়া যায় এবং ঈশ্বর কৃষ্ণের এক খানি কারিক গ্রন্থ (সাঙ্খ্য-সপ্ততি ) পাইতেছি । ঈশ্বর কৃষ্ণ বলিয়াছেন, মহানি পঞ্চশিখাচাৰ্য হইতেই সাখা শাস্ত্র বহু বিস্তৃত হইয়াছে। যথা— “एतन्पवितमुग्रा सुनिरासुरयेऽनुकम्पथा प्रददौ । श्रासुरिरपि पञ्चशिखाय तॆन च वहुधाक्कतं तन्चम् ।” (উপরে ইহার অর্থ এক প্রকার বলা হইয়াছে )। পঞ্চশিখাচাৰ্য্য সাঙ্গ্য শাস্ত্রকে পরিবর্জিত করিলে পর, উহার নাম ‘ষষ্টিতন্ত্র’ হইয়াছিল। ভাব এই যে, পঞ্চশিখাচাৰ্য্য কপিল সম্মত ষষ্টি-সংখ্যক পদার্থের উপর (৬০) ষষ্টি সংখ্যক গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। যে সকল বিষয়ের উপর তাহার গ্রন্থ ছিল সে সকল বিষয় এই— প্রকৃতি-প্রভৃতি মৌলিকবিষয়ের-১• পঞ্চশিখ এই ষষ্টি পদার্থের প্রতোক বিপৰ্য্যয় অর্থাৎ অজ্ঞান বিষয়ের—৫ পদার্থের উপর এক এক খানি গ্রন্থ সন্তোষ অর্থাৎ আমন্দ বিষয়ের-৯ রচনা করিয়াছিলেন। এক্ষণে তাহার ইঞ্জিয়াসামর্থ্যবিষয়ের—২৮ কিছুই পাওয়া যায় না এক্ষণে যাই।