বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 সাংখ্যদর্শন। [প্রতিপাদ্য ও আছে। নীতিশাস্ত্রে কুশলত থাকিলে, নিরুপদ্রব স্থলে বাস করিলে, আগন্তুক দুঃখও আক্রম করিতে পারে না। তবে, আর এমন কি গুপ্ত পদার্থ আছে, যাহা উপদেশ করিবার জন্য সাঙ্খ্যকার ব্যগ্র ?”— · “দুঃখের আত্যন্তিক নিরোধ হয় কি না—যদি হয়—তবে তাহ কি উপায়ে ?”–এই অংশ সাধারণকোঁধের গম্য নহে। অতএব এই অংশই সাংখ্য শাস্ত্রের উপদেশ্য। লোক মধ্যে দুঃখ নিবৃত্তির যে সকল উপায় দৃষ্ট হয়, তারা যে নিশ্চিত দুঃখনিবৃত্তি হইবে, এরূপ নিয়ম দৃষ্ট হয় না। যদিও নিবৃত্তি হয়, তথাপি পুনৰ্ব্বার সেই দুঃখের উদয় হইয়া থাকে। আত্যন্তিক নিবৃত্তি কদাচ হয় না। পরস্তু শাস্ত্রীয় উপায় অবলম্বন করিলে অবশ্য দুঃখনিবৃত্তি হইবে এবং সে নিবৃত্তি আত্যন্তিক নিবৃত্তি। সাংখ্য দর্শনের মতে এই আত্যন্তিক দুঃখনিবৃত্তির নামই মোক্ষ বা স্বস্বরূপ প্রাপ্তি। শাস্ত্রে ইহাকে পরম পুরুষাৰ্থ বলে। মনুষ্য যে কিছু প্রার্থনা করে, দুঃখ নিকারণের জন্যই করে। মনুষ্য, দুঃখ নিবৃত্তি বা দুঃখ নিবৃত্তির উপায়, উভয়কেই প্রার্থনা করে,—এজন্য উভয়ই পুরুষাৰ্থ বটে, কিন্তু লৌকিক উপায় দ্বারা যে দুঃখ নিবৃত্তি হয়, তাহা আত্যস্তিক নিবৃত্তি নহে। এজন্য উহা পুরুষাৰ্থ হইলেও পরমপুরুষাৰ্থ নহে। - জৈমিনি বা জৈমিনির ন্যায় যজ্ঞবিদ্যা-বিশারদ ঋষিরা বলেন, মনুষ্য মাত্রেরই "নিরন্তর মুখই হউক, দুঃখ যেন অণুমাত্র না হয় ” এইরূপ অব্যভিচারী অভিনিবেশ আছে। অতএব, ঐরূপ অভিনিবেশের পরিপূৰ্ত্তি (নিরবিচ্ছন্ন মুখ ধারা সম্ভোগ) মনুষ্যের সম্বন্ধে ঘটে কি না-তর্ক করিলে ‘ঘটে না? বলিয়া প্রত্যাখ্যান করা যায় না। জৈমিনির মতে উহাই স্বৰ্গ-মুখ। যথা,- *