বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুক্তি-প্রদর্শন। ] : সাংখ্যদর্শন। (t “यच दुःखेन संधिङ्ग' नच ग्रति मृगन्तरम् ।। । चभिखाबीपनौतब तकुखं खपदाखदम् ॥” ইহার সংক্ষেপ অর্থ এই যে নিরবচ্ছিন্ন স্থখ ধারা সম্ভোগই স্বর্গ ভোগ। এই স্বৰ্গই মনুষ্যের মুখতৃষ্ণার বিশ্রান্তি ভূমি। উহাই পরম পুরুষাৰ্থ, উহাকেই মুক্তি বলা যায়, উহাকুেই অমৃতভোগ বলা যায়। যাজিক । দিগের মত এই যে, বেদোক্ত কাৰ্য্যকলাপ, ঐ অলৌকিক সুখলাভের অদ্বিতীয় উপায় । যজ্ঞবিদ্যা-ব্যবসায়ীদিগের এই মত কপিলের হৃদয়গ্রাহী হয় নাই। কপিল বেদ মানেন, বেদোক্ত ক্রিয়াকলাপের ফল-জননী শক্তিও । স্বীকার করেন, কিন্তু কথিত প্রকারে নহে। বলেন, কৰ্ম্মসাধ্য স্বৰ্গ । সুখও ঐহিক মুখের ন্যায় দুঃথমিশ্র ও অনিত্য। কারণ, যাগ মাত্রেই হিংসা সাধ্য। পশুঘাত বা বীজ বিনাশ ব্যতিরেকে কোন যাগই নিম্পন্ন হয় না; সুতরাং হিংসাঘটিত কাৰ্য্যকলাপ কি রূপে নিরবচ্ছিন্ন শুভ ; ফল প্রসব করিতে পারে?—অতএব ক্রিয়াকাণ্ড কখনই তাদৃশ মুখের । জনক নহে। একমাত্র হিংসাদি দোষৱহিত বিশুদ্ধ তত্ত্বজ্ঞানই তাদৃশ মুখের জনক এবং তাহাই মুক্তির উপায়। * অপিচ, যেমন উপায় বিশেষ দ্বারা দুঃখবিশেষ কিছু কাল স্থগিত থাকে, আবার উপায় বিশেষে তদপেক্ষা অধিক কাল স্থগিত থাকে, এবং কোন উপায়ে একপ্রকার দুঃখের শান্তি, কোন উপায়ে বা দুই ও ততোধিক দুঃখের শান্তি হয়, তেমনি কোন না কোন উপায়ে

  • সাংখ্য মতে, বীজ বিনাশ করিলেও পাপ জন্মে। কিন্তু অজ বীজ | তির। যে বীজ হইতে আর অঙ্কর হইবে না, সেই বীজের নাম অজ । , অহিংসা-ঘটিত ব্ৰতে এই অজ বীজের ব্যবস্থা । ৩ বৎসর, কোন কোন বীজের ৫ বৎসর পর্য্যন্ত অঙ্ক রোৎপাদিক শক্তি থাকে। "