বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$\9 সাংখ্যদর্শন । [ প্রতিপাদ্য ও সকল দুঃখের শাস্তি হইতে পারে এৰং সে শান্তি অনন্ত কালের জন্য হইতেও পারে। দুঃখের কারণ ধ্বংস করিতে পারিলে দুঃখ উৎপত্তি হইবে কেন ? পৰ্বস্তু যে উপায়ে উহা সিদ্ধ হইবে, সে উপায় লোক মধ্যে নাই, যজ্ঞবিদ্যার মধ্যেও নাই। কারণ, সে উপায় তত্ত্বজ্ঞান। সেই তত্ত্বজ্ঞানের আকার-“আমি, মহৎ-অহঙ্কার-ইন্দ্রিয় প্রভৃতি প্রাকৃতিক বস্তু হইতে অত্যন্ত ভিন্ন এবং চিৎস্বরূপ”—এইরূপ প্রত্যর সুদৃঢ় ও সাক্ষাৎকার হওয়া আবশ্যক। শাস্ত্রীয় ভাষায় ইহাকে তত্বজ্ঞান, সত্ত্বপুরুষান্যতা-প্রত্যয় ও বিবেকথ্যাতি বলিয়া থাকে। এই প্রত্যয় উৎপাদনের নিমিত্ত আত্মা ও জগৎ, এই বস্তুদ্বয়ের যথার্থ রূপ কি ?— তাহার অনৃেষণ করিতে হয়। আত্মী ও প্রকৃতি (জগৎভাবাপন্না), এতদুভয়ের যাথার্থ অনুসন্ধান করার নাম তত্বাভ্যাস। দীর্ঘ কাল ব্যাপিয়া তত্বাভ্যাস করিতে পারিলে উক্ত প্রত্যয় জন্মিতে পারে। আত্মা ও জগৎ, এই দুই বস্তুর পরীক্ষা করিতে হইবে। তন্মধ্যে জগৎ (বাহ্য-বস্তু) পরীক্ষাই প্রথম। তাহাতে কপিলের মত এই যে, জগতের মূলতত্ব চতুৰ্ব্বিংশতি, আর আত্মতত্ব এক ; এই পচিশটি মাত্র তত্ব। এতন্মধ্যে যে চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্বের সমষ্টির নাম জগৎ, তাহার বাষ্টি এই—মূল প্রকৃতি, মহৎ, অহঙ্কার; রূপ-তন্মাত্র, রস-তন্মাত্র, গন্ধ তন্মাত্র, স্পর্শ তন্মাত্র, শব্দ তন্মাত্র, একাদশ-ইন্দ্রিয় ও মহাভূত পাচ । কপিল, স্ব-প্রতিজ্ঞাত এই সকল পদার্থকে আজ্ঞা বাক্যের ন্যায় স্বীকার করিতে বলেন না। তিনি বলেন, পদার্থ সকল পরীক্ষারূঢ় করাও—প্রমাণ সহ হইলে গ্রহণ করিও । , এক্ষণে প্রকৃতি কি ?--অহঙ্কার কি ?—এ সকল জিজ্ঞাসা নিবৃত্ত রাখ। যদ্বারা বস্তু নিশ্চয় হইবে তাহারই চিন্তা কৃর ।