বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুষজ্ঞান ] সাংখ্যদর্শন । * ९१ আচার্য্যেরা বলেন, “কৃষ্ণসারের এক প্রকার বিষয়-গ্রাহিণী শক্তি । আছে,—তাহাই চক্ষুরিক্রিয় শব্দের বাচ্য। আমরা যাহা দেখি, তাহ। দৃশ্যমান বস্তুর প্রতিবিম্ব মাত্র। কৃষ্ণসার যখন স্বীয়-শক্তিতে আপনার স্বচ্ছাংশে বস্তুর প্রতিবিম্ব গ্রহণ করে, তখনই জ্ঞান হয় “ইছ। অমুক বস্তু”। * বৃত্তিবাদী সম্প্রদায় বলেন, “ কৃষ্ণসার যদি ইন্দ্রিয় না হয়, তবে তাহার শক্তিও ইন্দ্রিয় নহে। বল দেখি শক্তি পদার্থটি কি ? স্বতন্ত্র ? কি কাহারও অনুগত ? বিচার করিতে গেলে স্পষ্টই প্রতীত হইবে যে শক্তি, রূপ-প্রভৃতির ন্যায় সেই সেই বস্তুর অধীন অর্থাৎ গুণ-পদার্থ। গুণ, কোন ক্রমেই আপনার আশ্রয় ত্যাগ করিয়া অন্যত্র সংগত হয় ন। সুতরাং শক্তিও আশ্রয় চু্যত হইয়া দূরে প্রস্থিত হয় না। বি শেষতঃ দ্রব্য ভিন্ন অন্য কোন পদার্থে ক্রিয়া জন্মে না । ক্রিয়া না জন্মিলেও বস্তুর চলন হয় না। যদি শক্তিক্ষেত্রে ক্রিয়া বা চলন না হয়, তবে সে দূরস্থ-পদার্থের সহিত কিরূপে সংযুক্ত হইবে ? মনে কর, অগ্নির দাহিক শক্তি আছে, জলের শৈত্য গুণ আছে, পুষ্পের সৌরভ আছে,—কিন্তু দাহিকা শক্তি, শৈত্য গুণ, সৌরভ, ইহার কি অগ্নি, জল, ও পুষ্প পরিত্যাগ করিয়া যায় ? কথনই না। তবে ষে আমরা দূর হইতে তাপ বা লিঙ্গ, শৈত্য বা সৌরভ আসিতে দেখি, তাহ কেবল গুণ বা শক্তি নহে, সকলই আপন আপন আশ্রয় দ্রব্যের পরমাণু সহযোগেই আইসে। যদি, অগ্নি পিণ্ড হইতে লিঙ্গের ন্যায় কৃষ্ণসার হইতে শক্তিও বিভক্ত হইয়া বিষয় প্রদেশে চলিয়া যায়

  • এই মতটি কপিল সুত্র হইতে স্পষ্টত উদ্ধার করা যায় না। তবে যে, কোন কোন আচার্ষ্য ঐক্কপ বলিয়াছেন, বোধ হয় “শক্তিস্কেদেপি ভেদসিদ্ধে ”— এই সূত্রটিই তাহার বীজ। যাহাই হউক, এই মতটি সাধারণতঃ প্রচলিত নহে।