পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাস বা ভ্ৰম-জ্ঞান। সাখ্যদর্শন। - Vogt. অক্ষর বা বৃহত্তম পৰ্ব্বতকে কাচ-বিশেষের সংসর্গে বৃহত্তম বা ক্ষুদ্রতম আকারে অবলোকন করা, ইত্যাদি নানা প্রকার ঔপাধিক আহার্যের উদাহরণ স্থল আছে। কি ঐস্ক্রিয়ক জ্ঞান, কি যৌক্তিক জ্ঞান, কি ঔপদেশিক জ্ঞান,—সৰ্ব্ব প্রকার জ্ঞানের অন্তরালে উক্ত প্রকার শত শত ভূম লুক্কায়িত আছে। তত্তাবতের নিবৃত্তি না হইলে প্রকৃত মঙ্গলের আশা করা যাইতে পারে না । । ভ্ৰমোৎপত্তির কারণ ও তাহার নিবৃত্তির উপায়। ভূ মোৎপত্তির কারণ প্রধানতঃ তিনটি। দোষ, সম্প্রয়োগ ও সংস্কার বা স্মরণ । * দোষ-দোষ নানা প্রকার। নিমিত্তগত দোষ, কালগত দোষ ও দেশগত দোষ । নিমিত্তগত দোষ এই যে, যে ইন্দ্রিয় যে প্রত্যক্ষের জনক, সেই ইন্দ্রিয় কোন প্রকার দুষ্টপদার্থে কলুষিত থাকা । চাক্ষুন্নপ্রত্যক্ষের জনক চক্ষুঃ, সেই চক্ষুঃ যদি পিত্ত দোষে বিকৃত হয়, তবে অতিশ্বেত বস্তুও হরিদ্রাবণ দেখায়। সন্ধ্যাদি কালের মন্দান্ধকার প্রভৃতি কাল দোষ। অতিদূরত্ব অতিসামিপ্য প্রভৃতি, দেশগত দোষ । , y সম্প্রয়োগ,—সম্প্রয়োগ শব্দের অর্থ এস্থলে এইরূপ বুঝিতে হইবে যে, যে বস্তুতে ভূম জর্থে, সেই বস্তুর সর্বাংশ মূৰ্ত্তি না হওয়া, অর্থাৎ কোন এক সামান্যাংশ মাত্রের প্রকাশ পাওয়া। । সংস্কার,–সংস্কার শব্দে এখানে সদৃশ বস্তুর স্মরণ বুঝিতে হইবে। কোন কোন মতে সংস্কারের পরিবর্ভে সাদৃশ্যকেই ভূ মোৎপত্তির প্রধান কারণ বলির বর্ণনা আছে। তাহারে মুভিপ্রায় এই যে, বস্তুর কোন এক অংশে সাদৃশ্য না থাকিলে ভ্রম জন্মিতে পারে না।