বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जाँक्षनां | রিপু জ্ঞান করিয়া থাক তবে শক্রহীন হইতে গেলে আত্মহত্যা করা আবশ্যক, কিন্তু তদ্বারা অtধ্যাত্মিক শক্তি বাড়ে কি না তাহার প্রমাণ দুষ্প্রাপ্য । গীতায় "শ্ৰীকৃষ্ণ কৰ্ম্মকে মমুষ্যের শ্রেষ্ঠপথ বলিয়া নির্দিষ্ট করি, য়াছেন তাহার কারণ কি ? তাহার কারণ এই যে, কৰ্ম্মেই মনুয্যের কর্তৃশক্তি বা আধ্যাত্মিকতার বলবৃদ্ধি হয়। কৰ্ম্মেই মনুষ্যের সমুদয় প্রবৃত্তি পরিচালনা করিতে হয় এবং সংযত করিতেও হয় । কৰ্ম্ম যতই বিচিত্র, বৃহৎ এবং প্রবল, আত্মনিয়োগ এবং আত্মসংযমের চর্চা ততই অধিক । এঞ্জিনের পক্ষে বাষ্প যেমন, কৰ্ম্মানুষ্ঠানের পক্ষে প্রবৃত্তি সেইরূপ । এঞ্জিনে যেমন একদিকে ক্রমাগত কয়লার খোরাক দিয়া আগ্নেয় শক্তি উত্তেজিত করিয়া তোলা হইতেছে অার একদিকে তেমনি দুর্ভেদ্য লৌহবল তাহাকে গ্রহণ ও ধারণ করিয়া স্বকার্য্যে নিয়োগ করিতেছে, মকুষ্যের জীবনযাত্রাও সেইরূপ। সমস্ত আগুন নিবাইয়া দিয়া সাত্ত্বিক ঠাণ্ডা জলের মধ্যে শীতকালের সরীস্বপের মত নিশ্চেষ্ট হইয়। থাকাকেই যদি মুক্তির উপায় বল তবে সে এক স্বতন্ত্র কথা । কিন্তু শ্ৰীকৃষ্ণের সে উপদেশ নহে। প্রবৃত্তির সাহায্যে কৰ্ম্মের সাধন এবং কৰ্ম্মের দ্বারা প্রবৃত্তির দমনই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । অর্থাৎ মনোজ শক্তিকে নানা শক্তিতে রূপান্তরিত ও বিভক্ত করিয়া চালনা করার দ্বারাই কৰ্ম্মসাধন এবং আত্মকর্তৃত্ব উভয়েরই চর্চা হয়—খোরাক বন্ধ করিয়া প্রবৃত্তির শ্বাসরোধ করা আধ্যাত্মিক আলস্যের একটা কৌশল মাত্র। তবে এমন কথা উঠতে পারে যে, প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে জীবমাত্রেরই আহারের প্রতি একটা আকর্ষণ আছে ; যদি মধ্যে