সমালোচনা। مواد তেন লেখার বল স্তুত বৃদ্ধি পাইত। হৃদয়ের উত্তাপ অতিমাত্রায় রচনার মধ্যে প্রয়োগ করিলে অনেক সময়ে তাহ! বাপের মত লঘু হইয়া যায়। - সাহিত্য । অগ্রহায়ণ। বৰ্ত্তমান সংখ্যক সাহিত্যে “ মাহার’ সম্বন্ধে ঐযুক্ত চন্দ্রনাথ বসু মহাশয়ের যে প্রবন্ধ বাহির হইয়াছে তাহার বিস্তারিত সমালোচনা স্থানান্তরে প্রকাশিত হইল। “প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে” চন্দ্রশেখর বাবু ডারুরিনের মতের কিয়দংশ সংক্ষেপে সরল ভাষায় ব্যক্ত করিয়াছেন। "মুক্তি” একটি ছোট গল্প। কতকটা রূপকের মত। কিন্তু আমরা ইহার উপদেশ সম্যক গ্রহণ করিতে পারিলাম না। মুক্তি যে সংসারের বাহিরে হিমালয়ের শিখরের উপরে প্রাপ্তব্য তাহা সঙ্গত বোধ হয় না । মুক্তি অর্থে আত্মার স্বাধীনতা, কিন্তু স্বাধীনতা মর্থে শূন্যতা নহে। অধিকার যত বিস্তৃত হয় আত্মার ক্ষেত্র ততই ব্যাপ্ত হয়। সেই অধিকার বিস্তারের উপায় প্রেম। প্রেমের বিষয়কে বিনাশ করিয়া মুক্তি নহে, প্রেমের বিষয়কে ব্যাপ্ত করিয়াই মুক্তি। বৈষয়িক স্বার্থপরতায় আমরা সমস্ত সুখ সম্পদ কেবল নিজের জন্য সঞ্চয় করিতে চেষ্টা করি –কিন্তু সুখকে অনেকের মধ্যে বিভাগ করিয়া না দিলে মুখের প্রসারত হয় না— এই জন্য কৃপণ প্রেমের বৃহত্তর মুখ হইতে বঞ্চিত হয়। আত্মসুথে বিশ্বমুখকে বাদ দিলে আত্মমুখ অতি ক্ষুদ্র হইয় পড়ে ; তেমনি আধ্যাত্মিক স্বার্থপরতায় আমরা আপনার আত্মাটি কক্ষে লইয়া অনস্ত বিশ্বকে লঙ্ঘন করিয়া একাকী মুক্তিশিখরের উপরে চড়িয়া বসিতে চাহি । কিন্তু প্রেমের মুক্তি মেরূপ নহে-যে বিশ্বকে ঈশ্বর ত্যাগ করেন নাই, সে বিশ্বকে সেও ত্যাগ করে না। যে দিন নিখিলকে আপনার ও
