বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** লtধজী । : স্বাসমণির অtহারের বৈচিত্র্য কে বুঝাইতে পরিবে ?--ফুৰ্ভাগ্যঃ ক্রমে একটি মত বহুকাল হইতে প্রচারিত হইয়াছে যে, হিন্দুসমাজের পরিবর্তন হয় নাই। সেই কথা লইয়া আমরা গৰ্ব্ব করিয়া থাকি যে আমাদের সমাজ এমনি সম্পূর্ণতা লাভ করিয়াছিল যে সহস্ৰ বৎসরে তাহার এক তিল পরিবর্তন সাধন করিতে পারে নাই। জগতের কোথাও কিছুই থামিয়া নাই, হল্প সংস্কার নয় বিকারের দিকে যাইতেছে ; যখন গঠন বন্ধ হয় তখনি ভাঙ্গন আরম্ভ হয় জীবনের এই নিয়ম। জগতের মধ্যে কেবল হিন্দুসমাজ থামিয়া আছে। হিন্দুসমাজের শ্রে তৈরি পক্ষে সেই একটি প্রধান যুক্তি, এ সমাজ সাধারণ জগতের নিয়মে চলে না, এই ঋষিরচিত সমাজ বিশ্বামিত্র-রচিত জগতের ন্তায় স্থষ্টিছাড়া । কিন্তু ইহঁার এক মুখে দুই কথা বলিয়া থাকেন। একবার বলেন হিন্দুসমাজ নিৰ্ব্বিকার নিশ্চল, আবার সময়ান্তরে পতিত ভারতের জন্ত বৰ্ত্তমান অনাচারের জন্য কণ্ঠ ছাড়িয়া বিলাপ করিতে থাকেন। কিন্তু পতিত ভারত বলিতে কি প্রাচীন ভারতবর্ষের বিকার বুঝায় না ? সেই হিন্দুধৰ্ম্ম সেই হিন্দুসমাজ সবই যদি ঠিক থাকে তবে আমরা নূতনতর জীব কোথা হইতে আসিলাম ? “য়ুরোপীয় মহাদেশ” লেখাটি সন্তোষজনক নহে। কতকগুল। নোট এবং ইংরাজি, বাঙ্গলা, ফরাসী (ভূল বানানসমেত) একত্র মিশাইয়া সমস্ত ব্যাপারটা অত্যন্ত অপরিস্কার এবং অসংলগ্ন হইয়াছে । বাঙ্গলা লেখার মধ্যে অনেকখানি করিয়! ইংরাজী এই পত্রের অন্তান্ত প্রবন্ধেও দেখা যায় এবং সকল সময়ে তাহার অত্যাবশ্যকতা বুঝা যায় না। “বঙ্গবাসীর মৃত্যু” প্রবন্ধে লেখক বড় বেশি হাসফাস করিয়াছেন ; লেখক মৃত সংযত ভাবে লিখি,