পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন। s” ছাতে সোণীর বালা এবং পায়ে দুইগাছি মল পরাইয়। রাইচরণ নবকুমারকে হুইবেল গাড়ি করিয়া হাওয়া খাওয়াইতে লইৱা যাইত । - বর্ষাকাল আসিল । ক্ষুধিত পদ্মা উদ্যান গ্রাম শস্যক্ষেত্র এক এক গ্রাদে মুখে পূরতে লাগিল । বালুকাচরের কাশবন এবং বনবাউ জলে ডুবিয়া গেল। পাড় ভাঙ্গার অবিশ্রাম কুপ্ৰাপ্‌ শব্দ এবং জলের গর্জনে দশদিক মুখরিত হইয়া উঠিল, এবং দ্রুতবেগে ধাবমান ফেনরাশি নদীর তীব্ৰগতি প্রত্যক্ষগোচর করিয়া তুলিল । অপরাহ্নে মেঘ করিয়া ছিল, কিন্তু বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা ছিল ন। রাইচরণের খামখেয়ালি ক্ষুদ্র প্রভু কিছুতেই ঘরে থাকিতে চাহিল না । গাড়ির উপর চড়িয়া বসিল । রাইচরণ ধীরে ধীরে গাড়ি ঠেলিয়া ধান্যক্ষেত্রের প্রাস্তে নদীর তীরে মাসিয়া উপস্থিত হইল। নদীতে একটিও নৌকা নাই, মাঠে একটিও লোক নাই— মেঘের ছিদ্র দিয়া দেখা গেল পরপারে জনহীন বালুকাতীরে শব্দহীন দীপ্ত সমারোহের সহিত স্বর্য্যাস্তের আয়োজন হইতেছে । সেই নিস্তব্ধতার মধ্যে শিশু সহসা একদিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিল “চন্ন, ফু!” অনতিদূরে সজল পঙ্কিল ভূমির উপর.একটি বৃহৎ কদম্ব বৃক্ষের উচ্চশাখায় গুটিকতক কদমফুল ফুটিয়াছিল, সেই দিকে শিশুর লুব্ধ দৃষ্টি আকৃষ্ট হইয়াছিল। দুই চারি দিন হইল রাইচরণ কাঠি দিয়া বিদ্ধ করিয়া তাহাকে কদম্ব ফুলের গাড়ি বানাইয়া দিয়াছিল,তাহাতে দড়ি বাধিয়া টানিতে এত আনন্দ বোধ হইয়াছিল যে সেদিন রাইচরণকে আর লাগাম পরিজে डुब नाहे ? ঘোড়া হইতে সে একেবারেই সহিসের পদে উন্নীত হইয়াছিল ।