বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ss সাধনা। । , অতএব আমাদের দেশে যদি অতিরিক্ত যন্ত্রচালনার প্রাচুর্ভাব ছইত তবে তাহার পরিণামফল কি হইত বলা শক্ত নহে। অামাদের বর্তমান অবস্থার সহিত তুলনা করিয়া দেখিলে খুব বেশি পরিবর্তন হইত না । কারণ আমাদের মানসিক রাজ্যে আমরা যন্ত্রের রাজত্বই বহন করিয়া আসিতেছি । কি খাইব, কি করিয়া খাইব, কোথায় বসিব, কাহাকে ছুইব জীবনের প্রত্যেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে, এবং দানধ্যান তপজপ প্রভৃতি ধৰ্ম্মকার্য্যে আমরা এমনি বাধা নিয়মে চলিয়া আসিয়াছি যে, মন হইতে স্বাধীনতার অঙ্কুর পর্য্যন্ত লোপ পাইয়াছে— স্বাধীন ভাবে চিন্তাও করিতে পারি না স্বাধীনভাবে কাৰ্য্যও করিতে পারি না। আকস্মিক ঘটনাকে দৈব ঘটনা বলিয়া ফ্যাল্ফ্যাল্‌ করিয়া তাকাইয়া থাকি। প্রবল শক্তিমাত্রকেই অনিবাৰ্য্য দৈবশক্তি জ্ঞান করিয়া বিনা বিরোধে তাহার পদতলে আত্মসমর্পণ করি। যুরোপে গুটিপোকার মড়ক হইলে, দ্রাক্ষা কীটগ্ৰস্ত হইলে তাহারও প্রতিবিধানের চেষ্টা হয়, আমাদের দেশে ওলাউঠা এবং বসন্তকে আমরা পূজা করিয়া মরি। স্বাধীন বুদ্ধির চোখ বাধিয়া তুলা দিয়া তাহার নাসা কর্ণ রোধ করিয়া আমরাও সম্প্রতি এইরূপ পরম আধ্যাত্মিক অৰস্থায় উত্তীর্ণ হইয়াছি। অন্তরে যখন এইরূপ পরিপূর্ণ অধীনতা বাহিরে তখন স্বাধীনতা কিছুতেই তিষ্ঠিতে পারে না । অতএব যদি মজুরের আবশ্যক হয় ত আমাদের মত কলের মজুর আর নাই। যুরোপের মজুররা প্রতিদিন বিদ্রোহী হইয়া উঠিতেছে। আমাদের কাছে যে কথা নুতন ঠেকিবে তাহার। সেই কথা উখা