বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

%3 সাধনা। ’ করিয়া তাড়াইয়া দিলেন । অমুকুল বাবু তাছার স্ত্রীর মন হইতে রাইচরণের প্রতি এই অন্তায় সন্দেহ দূর করিবার চেষ্টা করিরাছিলেন ; জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন রাইচরণ এমন জঘন্য কাজ কি উদেশে করিতে পারে । গৃহিণী বলিলেন “কেন ? তাহার গায়ে সোনার গহনা ছিল ।” দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । রাইচরণ দেশে ফিরিয়া গেল । এত কাল তfহার সস্তানাদি হয় নাই, হুইবার বিশেষ আশাও ছিল না । কিন্তু দৈবক্রমে, বৎসর না যাইতেই তাহার স্ত্রী অধিক বয়সে একটি পুত্রসস্তান প্রসব করিয়া লোকলীলা সম্বরণ করিল। এই নবজাত শিশুটির প্রতি রাইচরণের অত্যন্ত বিদ্বেষ জন্মিল । মনে করিল, এ যেন ছল করিয়া খোকাবাবুর স্থান অধিকার করিতে আসিয়াছে। মনে করিল, প্রভুর এক মাত্র ছেলেটি জলে ভাসাইয়া নিজে পুত্রমুখ উপভোগ করা যেন একটি মহাপাতক । রাইচরণের বিধবা ভগ্নী যদি না থাকিত তবে এ শিশুটি পৃথিবীর বায়ু বেশি দিন ভোগ করিতে পাইত না । - - আশ্চর্য্যের বিষয় এই, যে, এই ছেলেটিও কিছুদিন বাদে চৌকাট পার হইতে আরস্ত করিল, এবং সৰ্ব্বপ্রকার নিষেধ লঙ্ঘন করিতে সকৌতুক চতুরতা প্রকাশ করিতে লাগিল । এমন কি, ইহার কণ্ঠস্বর হাস্তক্ৰন্দনধ্বনি অনেকটা সেই শিশুরই মত । এক-একদিন যখন ইহার কান্না শুনিত, রাইচরণের বুকট। সহসা ধড়াস্ করিয়া উঠিত, মনে হইত দাদ। বাবু রাইচরণকে হারাইয় । কোথায় কাদিতেছে। ফেলুন . রাইচরণের ভগ্নী ইহা র নাম ū