বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খোকাবাবুর প্রত্যাবৰ্ত্তন। ses খিয়াছিল ফেলুনা—যথা সময়ে পিসিকে পিসি বলিয়৷ ডাকিল। সেই পরিচিত ডাক শুনিয়া একদিন হঠাৎ রাইচরণের মনে হইল— বে ত খোকাবাবু আমার মায়া ছাড়িতে পারে নাই। সে ত আমার ঘরে আসিয়াই জন্মগ্রহণ করিয়াছে । এই বিশ্বাসের অনুকূলে কতকগুলি অকাট্য যুক্তি ছিল। প্রথমতঃ, সে যাইবার অনতিবিলম্বেই ইহার জন্ম । দ্বিতীয়তঃ, এতকাল পরে সহসা যে তাহার স্ত্রীর গর্ভে সস্তান জন্মে এ কখনই স্ত্রীর নিজগুণে হইতে পারে না। তৃতীয়তঃ, এও হামাগুড়ি দেয়, টল্‌মল্‌ করিয়া চলে, এবং পিসিকে পিসি বলে । যে সকল লক্ষণ থাকিলে ভবিষ্যতে জর্জ হইবার কথা, তাহার অনেকগুলি ইহাতে বৰ্ত্তিয়াছে। তথন মাঠাকরুণের সেই দারুণ সন্দেহের কথা হঠাৎ মনে পড়িল---আশ্চর্য্য হইয়। মনে মনে কহিল “অাহ, মায়ের মন জানিতে পারিয়াছিল তাহার ছেলেকে কে চুরি করিয়াছে ”—তখন, এতদিন ষে শিশুকে অযত্ন করিয়াছে, সে জন্ত বড় অনুতাপ উপস্থিত হইল । শিশুর কাছে আবার ধরা দিল । এখন হইতে ফেলুনাকে রাইচরণ এমন করিয়া মানুষ করিতে লাগিল যেন সে বড় ঘরের ছেলে । সাটিনের জামা কিনিয়া দিল । জরির টুপি আনিল। মৃত স্ত্রীর গহনা গলাইয়া চুড়ি এবং বাল তৈয়ারি হইল। পাড়ার কোন ছেলের সহিত তাহাকে খেলিতে দিত না-রাত্রিদিন নিজেই তাহার একমাত্র খেলার সঙ্গী হইল। পাড়ার ছেলের সুযোগ পাইলে তাহাকে নবাবপুত্র বলিয়া উপহাল করিত এবং দেশের লোক রাইচরণের এইরূপ উন্মত্তবৎ অচিরণে আশ্চর্য্য হইয়। গেল । = ফেলুনার যখন বিদ্যাভ্যাসের বয়স হইল তখন রাইচরণ