বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তর পরিবর্তন। ૨૭૭ প্রবেশপূৰ্ব্বক স্ত,পাকার বিক্ষিপ্ত জিনিষপত্র যেমন তেমন করে চৰ্ম্মপেটকের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে তার উপরে তিন চার জনে দাড়িয়ে নির্দয় ভাবে নৃত্য করে বহুকষ্টে চাবি বন্ধ করা গেল। ভৃত্যদের যথাযোগ্য পুরস্কার দিয়ে ছোট বড় মাঝারি নানা আকারের বাক্স তোরঙ্গ বিছানাপত্র বহন করে নৌকারোহণপূর্বক নুতন জাহাজ “ম্যাসীলিয়া” অভিমুখে চলুম। অনতিদূরে মাস্তুলকণ্টকিত ম্যাসীলিয়। তার দীপালোকিত ক্যাবিনগুলির সুদীর্ঘ শ্রেণীবদ্ধ বাতায়ন উদঘাটিত করে দিয়ে পৃথিবীর আদিম কালের অতি প্রকাণ্ডকায় একটা সহস্রচক্ষু জলজন্তুর মত স্থির সমুদ্রে জোৎস্নালোকে নিস্তব্ধ ভাবে ভাস্চে । সহস) সেখানে থেকে ব্যাণ্ড বেজে উঠল । সঙ্গীতের ধ্বনিতে এবং নিস্তব্ধ জ্যোংস্নানিশীথে মনে হ’তে লাগল, অৰ্দ্ধরাত্রে এই আরবের উপকুলে আরব্য উপন্যাসের মত কি একটা মায়ার কাণ্ড ঘটবে। ম্যাসীলিয়া অষ্ট্রেলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে আচে। কুতূহলী নরনারীগণ ডেকের বারান্দী ধরে সকৌতুকে নবযাত্রীসমাগম দেখচে । কিন্তু সে রাত্রে নূতনত্ব সম্বন্ধে আমাদেরই তিনজনের সব চেয়ে জিত। বহুকষ্ট্রে জিনিষপত্র উদ্ধার করে’ ডেকের উপর যখন উঠলুম মুহুর্তের মধ্যে এক-জাহাজ দৃষ্টি আমাদের উপর বর্ষিত হ’ল । যদি তার কোন চিত্ন দেবার ক্ষমতা থাকত তাহলে আমাদের সৰ্ব্বাঙ্গ কটা কালো ও নীল ছাপে ভরে যেত। জাহাজটি প্রকাণ্ড। তার সঙ্গীতশালী এবং ভোজনগৃহের ভিত্তি শ্বেত প্রস্তরে মণ্ডিত। বিদ্যুতের আলো এবং ব্যাণ্ডের বাদ্যে উৎসবময়। অনেক রাত্রে জাহাজ ছেড়ে দিলে।