পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যোতির্বিজ্ঞান। জয়নমণ্ডলের এক এক প্রকার আকার কল্পনা করিয়া সেই অনুসারে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন গ্রহ কোথায় থাকা উচিত তাহা গণনা করিতেন-লে স্থানে যথাসময়ে নির্দিষ্ট গ্রহকে দেখিতে পাইলে বুঝিতেন যে কল্পিত আকার ঠিক হইয়াছে। , ইহঁার পর নুটনের অভু্যদয় । গ্ৰহগণের অয়নমণ্ডলের আকৃতি আলোচনা করিয়া তিনি স্থির করিলেন যে, কোনও এক শক্তির দ্বারা গ্ৰহগণের কেন্দ্র স্থৰ্য্যের কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হইতেছে । অনেকে মনে করেন যে, এই মাধ্যাকর্ষণী শক্তির আবিষ্কার বুঝি নুটনের খ্যাতির প্রধান কারণ–কিন্তু তাহা নহে। মূটন যে, বলিতে পারিয়াছিলেন ষে, হস্ত হইতে প্রস্তর খণ্ড বা বৃক্ষ হইতে ফলের পতন যে শক্তির দ্বারা নিয়মিত হইতেছে সেই একই বিশ্বব্যাপী শক্তির বলে চন্দ্র পৃথিবীর চতুর্দিকে, পৃথিবী স্বৰ্য্যের চতুর্দিকে এবং স্বৰ্য্য তাহার অজ্ঞাত অনন্ত পথে চালিত হইতেছে, ইহাই তাহার গৌরব। এই এক কথায় যেন জড়জগতের একটা প্রকাও রহস্য-আবরণ ভাঙ্গিয়া গেল—বিজ্ঞান নূতন ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া বিশ্বময় অসঙ্কোচে নিজ অধিকার স্থাপন করিল। ইহার পর কিছুদিন জ্যোতিষ শাস্ত্র কলের মত চলিতে লাগিল । বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি এই কয়টি গ্রহ জানা ছিল। য়ুরান এবং নেপ্টন আবিষ্কৃত হইল। গ্ৰহগণের গতি কি মুনররূপে স্থির করা হইয়াছিল নেস্টনের আবিক্রিয় তাহার দৃষ্টান্ত । ঘুরান যে সময়ে যেখানে থাকিবার কথা সে সময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হইতে পারিত না। কিন্তু সকলেই জানিল গণনার ভুল হওয়া অসম্ভব, নিশ্চয়ই জন্য কোম