বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যোতির্বিজ্ঞান । ኟ¶¢ উন্নতি লাভ করিয়াছে। ইহার পর তাহার আর বড় সন্দেহ রহিল না । . - * আর একটি যন্ত্রের কথা বাকি আছে। এ পর্য্যন্ত যন্ত্রগুলি চক্ষের সাহায্য করিতেছিল মাত্র। ফটোগ্রাফিক ক্যামেরায় আমরা যেন একটি নূতন চক্ষু পাইলাম। আমাদের নিজ চক্ষু অপেক্ষা ইহাতে চারিটি অধিক ক্ষমতা আছে। প্রথমতঃ ইহা আমাদের চক্ষু অপেক্ষ শীঘ্ৰ দেখিতে পায়। মুহূর্তের সহস্র ভাগের এক ভাগে স্বর্য্যের একটি চিত্র পাইতে পারি ; চক্ষু বহুকালের পরিশ্রমে যাহা দেখিতে পাইত সে চিত্রে তাহ সমস্তই অঙ্কিত হয় । দ্বিতীয়তঃ ইহা অধিক দূরের দৃশ্য দেখিতে পায়। যে সকল তার কোনো দূরবীক্ষণ যোগে কোনো চক্ষু দেখিতে পায় না, তাহার আলোকরেখা আসিয়া ইহাতে নিজ চিত্র রাখিয়া যায়। তৃতীয়তঃ ইহার অধিকক্ষণ ধরিয়া দেখিবার ক্ষমতা আছে। আমাদের চক্ষু দুই চারি মুহূর্তে যাহা দেখিতে পায় তাহার অধিক আর কিছুতেই দেখিতে পাইবে না। কিন্তু ইহা যত অধিক ক্ষণ তাক ইয়া থাকে ততই অধিক দৃশ্য এবং ততই উত্তমরূপে দেখিতে পায়। চতুর্থত: ইহার সর্বাপেক্ষ সুবিধাজনক ক্ষমতা এই যে, যাহা কিছু একবার ইহার দৃষ্টিপথে পতিত হয় তাহা স্থায়ীরূপে থাকিয়া যায়। ৰাস্তৰিকই এই নুতন চক্ষু পুরাতন অপেক্ষা শীঘ্র এবং সুন্দরতররূপে কাৰ্য্য করিতে পারে। একটি সচরাচর দূরবীক্ষণের সাহায্যে আমরা বহুরাত্রি অসম্ভব পরিশ্রম করিলে চতুর্দশ শ্রেণীর তারা পর্য্যস্ত, সংখ্যায় সবসুদ্ধ ৪০,০০,০ • • তারা দেখিতে পাই । শুধু চোখে যাহা দেখিতাম ফটোগ্রাফ ফলকে তাছার চিত্র এক মুহূর্বে পাওয়া যায়। ১৫ মিনিট কালে চক্ষু এবং দুৱৰীক্ষণের সীমা