食臀8 সাধনী। দিয়া আসে তাছা হইলে প্রত্যেক বাষ্প উক্ত রশ্মি হইতে নিজ নিজ রং আত্মসাৎ পূৰ্ব্বক আটক করিয়া রাখে—স্পেক্ট,স্কোপ দিয়া দেখিতে গেলে সেই সেই রঙের স্থান শূন্ত দেখা যায়। কোন কোন রং নাই তাহাই দেখিলে উক্ত রশ্মি কোন কোন ৰাম্পের ভিতর দিয়া আসিয়াছে বুঝা যায়। সুর্য্য নক্ষত্রাদি জলন্ত জ্যোতিষ্কের উপরিস্থিত সকল বস্তুই তাহাদের প্রচণ্ড উত্তাপে বাষ্পী কৃত হইয় তাহদের আবরণস্বরূপে বিরাজ করিতেছে। অতএব স্বৰ্য্যের সম্পূর্ণ রশ্মি স্পেক্ট স্কোপ দ্বারা নিরীক্ষণ করিয়া যে যে রঙে র অভাব দেখা যায় তদনুসারে জানা যায় স্বৰ্য্যের উপরে কোন কোন পদার্থের বাষ্প আছে। এবং সুর্য্য কি কি উপাদানে নিৰ্ম্মিত তাহাও এই উপায়ে ধরা পড়ে। নক্ষত্রগুলিও স্বর্যের ন্যায় বাষ্পাবৃত জলন্ত পিণ্ড, ইহাদের সম্বন্ধেও এইসকল যুক্তি খাটে। এইরূপ অনুসন্ধানে দেখা গিয়াছে যে, পৃথিবীর অধিকাংশ পদার্থ স্বৰ্য্য এবং নক্ষত্রাদিতে পাওয়া যায়–অধিক মাত্রায় জলজান । পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে, দূরবীক্ষণযোগে সকলে যেগুলিকে নীহারিকারাশি মনে করিত সেগুলির অধিকাংশ তারার সমষ্টি বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছিল । সকলের ধারণা হইয়া গিয়াছিল দূরবীক্ষণ আরও উন্নতি লাভ করিলে সকল নীহারিকাই বুঝি তারারূপে ধরা দিবে। স্পেক্ট স্কোপ দ্বারা জানা গেল যে তাহা নহে কতকগুলি বাস্তবিক নীহারিক আছে এবং তাহার জলন্ত জলজানরাশি মাত্র। ইতিপূৰ্ব্বেই লাপ্লাস অনুমান করিয়াছিলেন যে সমুদয় জ্যোতিষ্ক নীহারিকার স্তায় বাষ্পীয় অবস্থায় একত্রে মিশিয়া ছিল, এবং তাহা হইতে ক্রমে স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বর্তমান স্বাতন্ত্র্য ও