বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कझोल । ২৯১ জানি, একজন ডাক্তার তাহার কোন বিশেষ বন্ধুর কাছে আমাকে কনকচাপ। বলিয়াছিলেন। তাহার অর্থ এই, পৃথিবীর আর সকল মানুষই অস্থিবিদ্যা এবং শারীরতত্ত্বের দৃষ্টান্তস্থল ছিল কেবল আমিই সৌন্দর্য্যরূপী ফুলের মত ছিলাম। কনকচাপার মধ্যে কি একটা কঙ্কাল আছে ? “আমি যখন চলিতাম তখন আপনি বুঝিতে পারিতাম, যে, একখণ্ড হীরা নড়াইলে তাহার চারিদিক হইতে যেমন আলো ঝকমক্‌ করিয়া উঠে, অামার দেহের প্রত্যেক গতিতে সৌন্দর্ঘ্যের ভঙ্গী নানা স্বাভাবিক হিল্লোলে চারিদিকে ভাঙ্গিয়া পড়িত। আমি মাঝে মাঝে অনেকক্ষণ ধরিয়া নিজের হাত দুখানি নিজে দেখিতাম—পৃথিবীর সমস্ত উদ্ধত পৌরুষের মুখে রাশ লাগাইয়া মধুরভাবে বাগাইয়া ধরিতে পারে এমন দুইখানি হাত । সুভদ্র যখন অৰ্জুনকে লইয়া দৃপ্ত ভঙ্গীতে আপনার বিজয়-রথ বিস্মিত তিন লোকের মধো দিয়া চালাইয়া লইয়া গিয়াছিলেন, তাহার বোধ করি এইরূপ দুখানি অস্থল সুডোল বাহু, আরক্ত করতল এবং লাবণ্যশিখার মত অঙ্গুলি ছিল। “কিন্তু আমার সেই নির্লজ্জ,নিরাবরণ, নিরাভরণ চিরবৃদ্ধ কঙ্কাল তোমার কাছে আমার নামে মিথ্য সাক্ষ্য দিয়াছে। আমি তখন নিরুপায় নিরুত্তর ছিলাম। এই জন্য পৃথিবীর সব চেয়ে তোমার উপর আমার বেশি রাগ। ইচ্ছা করে আমার সেই ষোল বৎরের জীবন্ত, যৌবনতাপে উত্তপ্ত আরক্তিম রূপখানি একবার তোমার চোখের সামনে দাড় করাই, বহুকালের মত তোমার দুই চক্ষের নিদ্রা ছুটাইয়া দিই, তোমার অস্থিবিদ্যাকে অস্থির করিয়া দেশছাড়া করি।”— আমি বলিলাম “তোমার গা যদি থাকিত ত গা ছুইয়। বলি