বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

文)를 সাধন । গাথিয়া আমাকে আমার স্নিগ্ধ গভীর জন্ম-জলাশয় হইতে টান মারিয়া ছিনিয়া লইয়। যাইতেছে—কিছুতে তাহার হাত হইতে পরিত্রাণ নাই। বিবাহের দুই মাস পরেই আমার স্বামীর মৃত্যু হইল এবং আমার আত্মীয় স্বজনের আমার হইয়। অনেক বিলাপ পরিতাপ করিলেন। অামার শ্বশুর অনেকগুলি লক্ষণ মিলাইয়া দেখিয়া শাশুড়ীকে কহিলেন, ‘শাস্ত্রে যাহাকে বলে বিষকন্য, এ মেয়েটি তাই। সে কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। —শুনিতে ছ ? কেমন লাগিতেছে ?” আমি বলিলাম— “বেশ । গল্পের আরস্তুটি বেশ মজার।’ “তবে শোন । আনন্দে বাপের বাড়ি ফিরিয়া আসিলাম । ক্রমে বয়স বাড়িতে লাগিল। লোকে আমার কাছে লুকাইতে চেষ্টা কবিত কিন্তু আমি নিজে বেশ জানিতাম আমার মত রূপসী এমন যেখানে সেখানে পাওয়া যায় না । তোমার কি মনে হয় ?” “খুব সম্ভব। কিন্তু আমি তোমাকে কখন দেখি নাই।” “দেখ নাই ! কেন ? অামার সেই কঙ্কাল ! হি হি ছিহি ! আমি ঠাট্টা করিতেছি ! তোমার কাছে কি করিয়া প্রমাণ করিব, যে, সেই দুটো শূন্য চক্ষুকোটরের মধ্যে বড় বড় টানা দুটি কালে। চোখ ছিল, এবং রাঙা ঠোটের উপরে যে মৃদু হাসিটুকু মাখানে ছিল এখনকার অনাবৃত দস্তসার বিকট হাস্যের সঙ্গে তার কোন তুলনাই হয় না। এবং সেই কয়খানা দীর্ঘ শুষ্ক অস্থিখণ্ডের উপর এত লালিত্য, এত লাবণ্য, যৌবনের এত কঠিন-কোমল নিটােল পরিপূর্ণতা প্রতিদিন প্রস্ফুটিত হইয়া উঠিতেছিল, তোমাকে তাহ বলিতে গেলে হাসি পায় এবং রাগও ধরে । আমার সেই শরীর হইতে যে অস্থিবিদ্যা শেখা যাইতে পারে তাহ তখনকার বড় বড় ডাক্তারেরাও বিশ্বাস করিত না । আমি