Se e - जाँशनां । অtশ্রম স্থাপন করেন । তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম অনার্য্যদিগের মধ্যে আৰ্য্যসভ্যতা বিস্তার করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন । পুরাণে কথিত আছে যে, একদা বিন্ধ্যাচল সুৰ্য্যের গতিরোধকরণ মানসে অতিশয় দীর্ঘকলেবর ধারণ করিলে, দেবগণ অত্যন্ত ভীত হইয়া তাহার প্রতিবিধানার্থ অগস্ত্যমুনিকে অনুরোধ করেন। তাহাদের অনুরোধে মহামুনি অগস্ত্য বিন্ধ্যাচল সমীপে উপস্থিত হইলে, উক্ত পৰ্ব্বত মস্তক অবনত করিয়া তাহাকে প্ৰণিপাত করিল। তখন অগস্ত্য তাহাকে বলিলেন “বিন্ধ ! আমি যাবৎ দক্ষিণদিক হইতে ফিরিয়া না আইসি, তাবৎ তুমি এই অবস্থাতেই থাক ৷” পৰ্ব্বত তাহাই করিল। কিন্তু অগস্ত্য দক্ষিণদিকে প্রস্থান করিয়! আর বিন্ধ্যাচলের নিকট ফিরিলেন না । পুরাণের এই অলঙ্কারোক্তি হইতে এই সত্য প্রকাশিত হইতেছে যে, অগস্ত্যই সৰ্ব্ব প্রথম বিন্ধ্যাদ্রি উল্লঙ্ঘন করিয়া, দক্ষিপাত্যে প্রবেশ পূর্বক দণ্ডকারণ্যে (আধুনিক মহারাষ্ট্র দেশে) আশ্রম স্থাপন করিয়াছিলেন। ডাঃ ভাণ্ডারকর বলেন, অতি প্রাচীন কালে আর্য্যাবর্ত বাসী আর্য্যগণ বিন্ধ্যগিরিকে অতিশয় ছন্ন ঘ্য বলিয়া মনে করিতেন। বিন্ধ্যগিরির অত্যুন্নত শিখরাবলী তাহাদের নিকট স্বৰ্য্যেরও গতিরোধক বলিয়া মনে হইত। বিন্ধ্যাদ্রির পশ্চিমোত্তর ভাগকে “পরিযাত্র” বলে। পারিযাত্র ৫ অর্থে যাত্রার (দক্ষিণাত্য গমনের) প্রতিরোধক পৰ্ব্বত। এই পৰ্ব্বত তৎকালে আর্য্যগণের দাক্ষিণাত্য গমনের বাধা জন্মাইতেছিল ইহা অরণ্যে পরিণত হইয়া যায়। রামায়ণের সুপ্রসিদ্ধ টীকাকার রামামুজের মতে দণ্ডকারণ এক্ষণে মহারাষ্ট্র দেশ হইয়াছে। ডাঃ রামকৃষ্ণগোপাল ভাণ্ডারকর সম্পূর্ণ রূপে এই মতের অনুমোদন করিয়াছেন।
- এই পৰ্ব্বত হইতে চাম্বেল ও বেটওয়া এই দুই নদীর উৎপত্তি হইब्रांtश् ।
