বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণাত্যে মাধ্য-উপনিবেশ। د۰ه বলিয়া আৰ্য্যগণ এই পৰ্ব্বতের নাম “পারিষাত্র’ রাখিয়ছিলেন, বোধ হয়। তৎপরে কিছুদিন গতে, মহর্ষি অগস্ত্য • বিন্ধ্যাদ্রিকে তাহার মস্তক অবনত করিয়! থাকিতে আদেশ করিলেন ; অর্থাৎ বিন্ধ্যগিরি উল্লঙ্ঘন কয়িয়া দাক্ষিণাত্যে স্বীয় আশ্রম স্থাপনপুৰ্ব্বক আর্য্যগণের দাক্ষিণাত্য প্রবেশের পথ পরিষ্কার করিয়৷ দেন। এই ঘটনা অবলম্বন করিয়া পূৰ্ব্বোল্লিখিত পৌরাণিক উপাখ্যানটি রচিত হইয়াছে, ডাঃ ভাণ্ডার করের এই অনুমান নিতাস্ত অসঙ্গত নহে । কারণ, পুরাণোক্ত অধিকাংশ উপাখ্যানই এইরূপ ঐতিহাসিক সত্য-মিশ্রিত রূপ কালঙ্কারে পরিপূর্ণ। পৌরাণিক উপাখ্যানগুলিকে রূপ কাচ্ছাদিত বলিয়া নির্দেশ করায়, পৌরাণিক তত্ত্বানভিজ্ঞ প্রাচীন সমাজ হয়ত আমাদের উপর অসন্তুষ্ট হইবেন ; এবং আমাদিগকে অহিন্দু বা নাস্তিক নামে অভিহিত করিবেন । কারণ, তাহীদের মধ্যে অনেকের ধ্ৰুৰ বিশ্বাস যে, পুরাণের প্রত্যেক বর্ণ অমোঘ সত্যপূর্ণ। কিন্তু তাহাদের এই বিশ্বাস নিতান্ত ভ্রমপূর্ণ। এই ভ্রান্ত বিশ্বাস যে, আর্য্যসমাজের বহুল অনিষ্ট সাধন করিয়াছে ও করিতেছে, তাহা চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রেই স্বীকার করিবেন । বঙ্গদেশীয় স্বপ্রসিদ্ধ ধৰ্ম্ম প্রচারক পণ্ডিত প্রবর ত্রযুক্ত শশধর তর্কচূড়ামণি

  • ইহার প্রথম ও প্রকৃত নাম 'মান, তৎপরে বিন্ধ্যাচলের দর্প চূর্ণ করিয়া তিনি অগস্তি (অগং বিস্ক্যং স্ত্যায়তি) নাম প্রাপ্ত হন । অগস্ত্যের উৎপত্তি সম্বন্ধে ঋগ্বেদে (৭।৩৩।১৩) ও বৃহৎ সংহিতাতে লিখিত আছে যে যজ্ঞস্থলে উৰ্ব্বশীকে দেখিয়া মিত্র ও বরুণের রেতঃস্খলন হয় । সেই শুক্র ষষ্ট্ৰীয় কৃন্থে পতিত হওয়ায় মুহূৰ্ত্ত মধ্যে তাহাতে অগস্ত্য ও বলিষ্ঠ নামে দুই বীৰ্য্যবস্ত BBB BBBB BBBB S BBBBS BBBB BBB B BBBB BBBBB স্বায় হইয়াছিল । অগস্ত্য মুনির আশ্রম বরাবর একস্থানে ছিল না। রামায়ণের সময় তাহার আশ্রম দণ্ড কারণ্যে এবং মহাভারতের সময় গয়ার নিকটে ছিল। (বিশ্বকোষ) । শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত বাবু রাজনারায়ণ বস্ব মহোদয়ের মতে অগস্ত্য একটি বংশের নাম । এতদনুসারে মহাভারতীয় অগস্ত্য রামচঞ্জের সমসাময়িক অগস্ত্যের বংশধর ছিলেন, অমুমিত হয় । o