পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ళి ఉ* সাধনা ৷ মহাশয়ও এ কথা স্বীকার করিয়াছেন। পুরাণ ত অতি দুরের কথা —উfহার মতে শ্রুতিও এইরূপ ঐতিহাসিক সত্যমিশ্রিত রূপকালঙ্কারে পরিপূর্ণ। চূড়ামণি মহাশয় ক্রমোন্নতির প্রণালী বুঝাইতে গিয়া বলিয়াছেন ঃ—“বাস্তবিক মনুষ্যশরীরই আত্মার সম্পূর্ণ শক্তি বিকাশের উপযুক্ত স্থান। শ্রুতি (ঐতরেয় উপনিষদ) বলেন, (স্থানাভাবে মূল উদ্ধত হইল না) “বিধাতা তাপ, বায়ু, আলোক প্রভৃতি স্বষ্টি করিলে তাহার। চক্ষুরিন্দ্রিয়াদি শক্তিরূপে পরিণত হইয় আপন আপন কাৰ্য্য সম্পন্ন করিবার নিমিত্ত উপযুক্ত আধার প্রার্থনা করিলে, বিধাতা তাহাদিগকে গবাকার শরীর দিলেন। তাহারা যেন বিধাতাকে বলিল “ইহা অামাদের পর্য্যাপ্তি মতে ক্রিয়ার উপযুক্ত হয় নাই । পরে বিধাত অশ্বাকার শরীর উপস্থিত করিলেন, তাহাতেও তাহার ঐক্লপ বলিল, পরে পুরুষাকার শরীর উপস্থিত করিলেন, তাহাতে তাহারা বলিল, "ইহা আমাদের পর্য্যাপ্ত ক্রিয়ার উপযোগী হইয়াছে। —ইহা অালস্কারিক কথা মাত্র ; বাস্তবিক ক্রমোন্নতিই ইহার তাৎপৰ্য্য বোধ হয়।” (ধৰ্ম্ম ব্যাখ্যা ১ম খণ্ড ২৬২৭ পৃঃ)। চূড়ামণি মহাশয় শ্রুতিবাক্যকে রূপ কালঙ্কারমিশ্রিত বলিয়। নির্দেশ করিয়াছেন বলিয়া কি “বঙ্গবাসী”প্রমুখ গোড় হিন্দুগণ তাহাকে অহিন্দু

  • শ্রদ্ধাস্পদ চূড়ামণি মহাশয় প্রাচীন সমাজের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে যে সারগর্ভ কথা বলিয়াছেন, এস্থলে ও হ উদ্ধত না করিয়া থাকিতে পারিলাম না । তিনি বলিয়াছেন – "নব্য সমাজের অবস্থা বলিলাম। আবার আজকালের প্রাচীন সমাজের অবস্থা আরও শোচনীয। প্রাচীন সমাজ স্কুল হুক্ষ কোনও চিন্তারই আবশ্যকতা মনে করেন না । স্তাহার। যাহা করিয়া আসিতেছেন, তাহাই করিলেন। আর্য্যশাস্ত্রের নির্শল সুযুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি ষে তাহাদের ঘোর স্বেচ্ছাচার ও স্বার্থপরতায় বিমিশ্রিত হইয়া, এখন নিতান্ত মলিনবেশে পরিণত ও ঘোর কুসংস্কারাচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছে, ইহা প্রাচীন সমাজ ঈষৎ কটাক্ষ করিয়াও দেখেন না। প্রাচীন সমাজ স্তস্তুের ন্যায় নিশ্চিন্তু ও অচল অটুল, ” ধৰ্ম্মব্যাখ্যা ১ম খণ্ডু ওপৃঃ ঐষ্টব্য ।