বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণাত্যে অর্থ্য-উপনিবেশ । oe 3 .

বা মাস্তিক বলিবেন ? উক্ত শ্রুতিবাক্যের অলঙ্কারাদি বর্জন করিয়া তাহা হইতে ক্রমোন্নতির প্রণালী সম্বন্ধীয় সিদ্ধান্ত নিষ্কাশন করা, চূড়ামণি মহাশয় ও তন্মতাবলম্বিগণের মতে যদি যুক্তি ও হিন্দুয়ানির বিরুদ্ধ না হয়, তাহ হইলে আমাদের পূৰ্ব্বোস্থত অগস্ত্যোপাধ্যান হইতে, চূড়ামণি প্রদর্শিত প্রণালী অবলম্বন করিয়া, অগস্ত্যের সর্বপ্রথম বিন্ধ্যোপ্লজঘন সম্বন্ধীয় সিদ্ধান্ত নিস্কাশিত করিলে বোধ হয়, হিন্দুধৰ্ম্মের মর্য্যাদা লঙ্ঘিত হইবে न1 ।। র্যাহারা পুরাণশাস্ত্র বিশেষরূপে অধ্যয়ন ও আলোচনা করিয়াছেন, তাহারা অবশ্যই স্বীকার করিবেন, পুরাণগুলি অর্থবাদ ও অলঙ্কারাদিতে পরিপূর্ণ। কেবল যে, পুরাণেই অর্থবাদ ও অলঙ্কারাদি অাছে তাহা নহে । বেদেও বিস্তর অর্থবাদ ও আলঙ্কারিক বর্ণনা দৃষ্ট হয় । শাস্ত্রীয় বিচারে অর্থবাদ ও অলঙ্কারাদির প্রামাণ্য নাই, । পুরাণে যেরূপ অনেক অসম্ভব গল্প আছে, বেদের মধ্যেও ঠিক সেইরূপ আছে । অসম্ভব উপাখ্যান ও অসঙ্গত রচনা দেখিয়া আজকাল অনেকে পুরাণকে উপেক্ষা করিয়া থাকেন ; কিন্তু প্রাচীন ঋষিগণ তাদৃশ বা ততোধিক অসঙ্গত দেখিয়াও বেদকে অবজ্ঞা করিতেন না, প্রত্যুত বিচারমার্গ অবলম্বন করিয়া তাহার যাথার্থ্য নিরূপণ পুৰ্ব্বক সত্যাংশ গ্রহণ ও

  • তাই শাস্ত্রকারগণ বলিয়াছেন : ,

“গ্রন্থমভস্য মেধাবী জ্ঞানবিজ্ঞানতৎপরঃ | পলালমিব ধান্যার্থী ত্যজো গ্রন্থমশেষতঃ ॥” অর্থাৎ ধাস্তার্থী যেমন সৰ্ব্বসমেত আহরণ করিয়৷ ধান্যভাগ গ্রহণপুৰ্ব্বক অবশিষ্ট পলাল (উ ) ভাগ পরিত্যাগ করে, সেইরূপ বুদ্ধিমান ব্যক্তি নানা শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া তন্মধ্যস্থিত সত্যাংশ গ্রহণ পূর্বক জসত্যাংশ পরিত্যাগ করবেন। 을