বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাগ্লোন্তম । . לאמי نمي লেখ । অর্থাৎ কোন উদেশ্য না রেখে লেখা। কেবল লেখার জন্তেই লেখা। অর্থাৎ ছুটির দিনে দুই বন্ধুতে মিলে রাস্তার বেরিয়ে পড়া ; তার পরে যেখানে গিয়া পড়ি তাতে কিছু আসে যায় না—এবং পথ হারালেও কোন মনিবের কাছে কৈফিয়ৎ দেবার নেই। দস্তুরমত রাস্তায় চলতে গেলে আ প্রাসঙ্গিক কথা বলবার যো থাকে না । কিন্তু প্রাপ্য জিনিষের চেয়ে “ফাউ” যেমন বেশি ভাল লাগে তেমনি অধিকাংশ সময়েই আ প্রাসঙ্গিক কথাটায় বেশি আমোদ পাওয়া যায় ; মূল কথাটার চেয়ে তার আশপাশের কথাট। বেশি মনোরম বোধ হয় ; অনেক সময়ে রামের চেয়ে হনুমান এবং লক্ষণ, যুধিষ্ঠিরের চেয়ে ভীষ্ম এবং ভীম, স্বৰ্য্যমুখীর চেয়ে কমলমণি বেশি প্রিয় বলে বোধ হয় । অবশু, সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক কথা বল্পে একেবারে পাগলামী করা হয় ; কিন্তু তাই বলে নিজের নাসাগ্রভাগের সমসূত্র ধরে ভূমিকা থেকে উপসংহার পর্য্যন্ত একেবারে সোজা লাইনে চল্পে নিতান্ত কলে তৈরি প্রবন্ধের স্বষ্টি হয়, মানুষের হাতের কাজের মত হয় না । সে রকম অ*াটা মণটি প্রবন্ধের বিশেষ অবশ্যক আছে এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারে না, কিন্তু সৰ্ব্বত্র তারই বড় বাহুল্য দেখা যায়। সে গুলো পড়লে মনে হয় যেন সত্য তার সমস্ত সুসংলগ্ন যুক্তিপরম্পরা নিয়ে একেবারে সম্পূর্ণভাবে কোথা থেকে আবিভূতি হল ! মানুষের মনের মধ্যে সে যে মানুষ হয়েচে, সেখানে তার যে আরো অনেকগুলি সমবয়সী সহোদর ছিল, একটি বৃহৎ বিস্তৃত মানসপুরে যে তার একটি বিচিত্র বিহারভূমি ছিল, লেখকের প্রাণের মধ্যে থেকেই সে যে প্রাণ লাভ করেচে, তা’ তা’কে দেখে, মনে হয় না--