পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रांtशt5नां । ૭૨દ কাজ নেই। তা ছাড়া সত্যকে এমন ভাবে প্রকাশ করা যাত্ যাতে লোকে অবিলম্বে জানতে পারে যে, সেট। আমারই বিশেষ মন থেকে বিশেষভাবে দেখা দিচ্চে। আমার ভাল লাগা মন্দ লাগা, আমার সন্দেহ এবং বিশ্বাস, আমার অতীত এবং বৰ্ত্তমান তার সঙ্গে জড়িত হয়ে থাক, তা হলেই সত্যকে নিতান্ত জড়পিণ্ডের মত দেখাবে না । আমার বোধ হয় সাহিত্যের মূল ভাবটাই তাই । যখন কোন একটা সত্য লেখক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেখা দেয়, যখন সে জন্মভূমির সমস্ত ধূলি মুছে ফেলে এমন ছদ্মবেশ ধারণ করে যাতে করে তাকে একটা অমানুষিক স্বয়স্তু সত্য বলে মনে হয় তখন তাকে বিজ্ঞান দর্শন ইতিহাস প্রভৃতি নানা নাম দেওয়া হয় । কিন্তু যখন সে সঙ্গে সঙ্গে আপনার জন্মভূমির পরিচয় দিতে থাকে, আপনার মানবাকার গোপন করে না, নিজের ইচ্ছ। অনিচ্ছ এবং জীবনের আন্দোলন প্রকাশ করে তখনি সেটা সাহিত্যের শ্রেণীতে ভুক্ত হয়। এই জন্তে বিজ্ঞান দর্শন সবই সাহিত্যের মধ্যে মিশিয়ে থাকৃতে পারে এবং ক্রমেই মিশিয়ে যায়। প্রথম গজিয়ে তার দিনকতক অত্যন্ত খাড়া হয়ে থাকে, তার পরে মানবজীবনের সঙ্গে তারা যতই মিলে যায় ততই সাহিত্যের অন্তভূর্ত হতে থাকে, ততই তার উপর সহস্ৰ মনের সহস্র ছাপ পড়ে এবং আমাদের মনো রাজ্যে তাদের অর প্রবাসীভাবে থাকৃতে হয় না । এই রকম সাহিত্য আকারে যখন সত্য পাই, তখন সে সৰ্ব্বতোভাবে সাধারণের ব্যবহারোপযোগী হয়। কিন্তু সাধারণের সহজে ব্যবহারোপযোগী হয় বলেই সাধারণের কাছে অনেক সময় তার বিশেষ গৌরব চলে যায়। ষেম