বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9:శ్రీ সাধন । সত্যকে মানবজীবন দিয়ে মণ্ডিত করে’ প্রকাশ করা কম কথা ! সেটাকে সহজে গ্রহণ করা যায় বলে’ যেন সেটাকে স্বজন করাও সহজ ! তাই আমাদের সারবান সমালোচকের প্রায়ই অাক্ষেপ করে থাকেন, বাঙ্গলায় রাশি রাশি নাটক নভেল কাব্যের আমদানি হচ্চে ! কই হচ্চে ! যদি হত, তা হলে অামাদের ভাবনা কি ছিল ! আচ্ছা, তোমার কি মনে হয় না, আমরা জ্ঞানতঃ কিম্বা অজ্ঞানতঃ মানুষকেই সবচেয়ে বেশি গৌরব দিয়ে থাকি । আমরা যদি কোন সাহিত্যে অনেকগুলে। ভ্রান্ত মতের সঙ্গে একটা জীবন্ত মানুষ পাই সেটাকে কি চিরস্থায়ী করে রেখে দিইনে ? জ্ঞান পুরাতন এবং অনাদৃত হয় কিন্তু মানুষ চিরকাল সঙ্গদান করতে পারে। সত্যকার মানুষ প্রতিদিন যাচ্চে এবং আস্চে ; তাকে আমরা খণ্ড খণ্ড ভাবে দেখি, এবং ভুলে যাই, এবং হারাই। অথচ মানুষকে আয়ত্ত করবার জন্যেই আমাদের জীবনের সর্বপ্রধান ব্যাকুলত। সাহিত্যে সেই চঞ্চল মানুষ আপনাকে বদ্ধ করে রেখে দেয় ; তার সঙ্গে আপনার নিগুঢ় যোগ চিরকাল অনুভব করতে পারি। জীবনের অভাব সাহিত্যে পূরণ করে। চিরমমুষ্যের সঙ্গ লাভ করে আমাদের পূর্ণ মনুষ্যত্ব অলক্ষিতভাবে গঠিত হয়—আমরা সহজে চিন্তা করতে, ভালবাসতে এবং কাজ করতে শিখি। সাহিত্যের এই ফলগুলি তেমন প্রত্যক্ষগোচর নয় বলে’ অনেকে এ’কে শিক্ষার বিষয়ের মধ্যে নিকৃষ্ট আসন দিয়ে থাকেন কিন্তু আমার বিশ্বাস, সাধারণতঃ দেখলে, বিজ্ঞান দর্শন ব্যতীতও কেবল সাহিত্যে একজন মানুষ তৈরি হতে পারে কিন্তু সাহিত্য ব্যতিরেকে কেবল বিজ্ঞান দর্শনে মানুষ গঠিত হতে পারে না।