বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যোতির্বিজ্ঞান। ജ് শীঘ্রই এইরূপ অগ্রপশ্চাৎ গতির নিয়ম বহির হইয়া পড়িল এবং সকলের কৌতুহলের সীমা রহিল না যখন দেখা গেল যে জ্যোতির হ্রাস এবং বৃদ্ধির সহিত আলগোলের অগ্র পশ্চাৎ গতির বিশেষ সম্বন্ধ আছে। নিকটে আসিবার সময় জ্যোতির বৃদ্ধি হয় এবং দূরে যাইবার সময় কমিয়া যায় । এইরূপ অবস্থীি সকলে যন্ত্র ছাড়িয়া কাগজ কলম ধরিল। প্রথমেই স্থির হইল যে সরল রেখায় অগ্র পশ্চাৎ গতি জ্ঞাত নিয়মানুসারে অসম্ভব । অতএব উহ। নিশ্চয়ই চক্রাকার বা বৃত্তা ভাসাকার পথে গমনাগমন করিতেছে । তাহা যদি হইল তবে উহার নিকটে নিশ্চয়ই কোন জ্যোতিষ্ক আছে যাহার আকর্ষণী শক্তির দ্বারা আলুগোল এইরূপ পথ অবলম্বনে বাধ্য হইতেছে। অবশেষে একে একে আল্‌গোলের এই সহচরের সকল গুণাগুণ প্রকাশ হইয়া পড়িল, যদিও উহার জ্যোতি ন! থাকাতে উহা আজ পর্য্যস্ত অদৃশু রহিয়াছে! সরু রবর্ট বল্ এই স্থানে আর উৎসাহ সম্বরণ করিতে পারিতেছেন না, তিনি আলগোল এবং তাহার গ্রহের বর্ণনায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন । পাঠক দিগের বিরক্ত অtশঙ্কায় আমরা ক্ষণস্তু রহিলাম। এই টুকু বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, আলগোলের, তাহার গ্রহের দ্বারা, কি পরিমাণে আলোক আটক হইতেছে দেখিয়া, উক্ত দুই তারার অাপেক্ষিক আয়তন পাওয়া গেল । আয়তন এবং গতিবেগ হইতে গুরুত্ব সহজেই জানা যাইতে পারে এবং যখন দেখা গেল ষে উহারা উভয়েই স্থৰ্য্য অপেক্ষা আয়তনে অধিক অথচ ওজনে কম তখন উহাদের অধিকাংশ যে বাষ্পীয় অবস্থায় তাহার আর সন্দেহ রহিল না। ইহার মধ্যে আশ্চর্য্যের বিষয় শুধু এইটুকু যে, আলুগোলের সঙ্গীটি বাষ্পীয় অবস্থায় ও জ্যোক্তিহীন ।