বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ভোলানাথ ! তুমি কি নিমিত্ত এরূপ প্রশ্ন করিতেছ ? তোমার সাধ্য নয় যে, তুমি এ সকল বুঝিতে পার। এই দেখ, আমার জ্যেষ্ঠা কন্য, ইহার নাম স্পর্শ সত্তা বা ত্বক, এই আমার দ্বিতীয় কন্যা, রসনা । এই আমার প্রথম পুত্র নয়ন, দ্বিতীয় পুত্র শ্রবণ, এই আমার তৃতীয় কন্যা নাসিকা” ইত্যাদি। গ্রন্থের -৫মহকু_ক্তাবটি” অতি পরিপাটী। গ্রন্থের আত্মিক ভাব বুঝিবার জন্য ভোলানাথের ন্যায় সমজদার ব্যক্তির আবশুক । যাহা হউক, আমাদের ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে এইটুকু বুঝিতে পারি, এই গ্রীষ্মপ্রধান দেশে “মস্তিষ্ক দেবী”কে বিবিধ শৈত্য-উপচারে ঠাণ্ডা রাখা কৰ্ত্তব্য । simpingssssssssssim= C || ১। বৃক্ষ গুঝাদির পত্রে ও শাখায়, শ্বেত বর্ণ, খুখুর ন্যায় এক পদার্থ দৃষ্ট হয়—লোকে ইহাকে “ব্যাঙের খুখু” বলে । এ পদার্থটা কি ? ভেকের সহিত ইহার কোন সম্পর্ক আছে বলিয়া বোধ হয় না-বৃক্ষাদির অত্যুচ্চ শাখার পত্রে, যেখানে ভেকসমাগমের কোন সস্তাবনা নাই, সেখানেও এই পদার্থ দেখিতে পাওয়া যায় । শ্ৰীমতী শরৎকুমারী দেবী। কৃষ্ণনগর । ২ । মহাশয়, একজনকে হাই তুলিতে দেখিলে আর একজন প্রায়ই হাই তুলে কেন ? আর হাই তুলিবার সময় তিনবার টুস দিবার অর্থ কি ? শ্ৰীহরিমোহন মুখোপাধ্যায় । হাজিপুর । ৩ । হিন্দুশাস্ত্র কখনও পড়ি নাই সুতরাং হিন্দুবিবাহের আধ্যাত্মিকতা উত্তমরূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি নাই, তবে শুনিতে পাই হিন্দুশাস্ত্রে বলে যে, স্ত্রী স্বামীর অৰ্দ্ধাঙ্গ, উভয়ের আত্মা এক, শরীর দুইটি মাত্র, পার্থিব শরীর ধ্বংসের পর মুক্তাত্মা যুক্ত হইয়া যায়, কিন্তু ইহাও শুনিতে পাই পূর্বে পূৰ্ব্বে হিন্দুধর্মের কুলপাবন পুত্ৰগণ সময়ে সময়ে শতাধিক বিবাহ করিতেও আপত্তি করিতেন না, এখন জিজ্ঞাস্য—মৃত্যুর পর তাহাদের আত্ম না হয় তাহদের প্রথম স্ত্রীর স্বাক্সার সহিত মিলিয়া ‘একত্বে পরিণত হইল, কিন্তু অন্তঃস্থ স্ত্রীর আত্মার কি