বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তির উপায়। - అ*3 গ্ৰী হৈমবতীর বয়স অল্প এবং তাহার মন পার্থিব বিষয়ে সম্পূর্ণ নিবিষ্ট। সে বঙ্কিম বাবুর নভেল পড়িতে চায় এবং স্বামীকে ঠিক দেবতার ভাবে পূজা করিয়া তাহার তৃপ্তি হয় না। সে একটুখানি হাসিখুসি ভালবাসে ; এবং বিকচোমুখ পুষ্প যেমন বায়ুর আন্দোলন এবং প্রভাতের আলোকের জন্য ব্যাকুল হয়, সেও তেমনি এই নব যৌবনের সময় স্বামীর নিকট হইতে অাদর এবং হাস্তামোদ যথাপরিমাণে প্রত্যাশা করিয়া থাকে । কিন্তু স্বামী তাহাকে অবসর পাইলেই ভাগবত পড়ায়, সন্ধ্যtবেলায় ভগবদগীতা শুনায়, এবং তাহার আধ্যাত্মিক উন্নতির উদ্দেশে মাঝে মাঝে শারীরিক শাসন করিতেও ক্রটি করে না । যে দিন হৈমবতীর বালিশের নীচে হইতে “কৃষ্ণকাস্তের উইল” বাহির হয় সে দিন উক্ত লঘুপ্রকৃতি যুবতীকে সমস্ত রাত্রি অশ্রপাত করাইয়। তবে ফকির ক্ষাস্ত হন । একে নভেল পাঠ তাহাতে আবার পতিদেবকে প্রতারণা ! যাহা হউকৃ অবিশ্রাম আদেশ অনুদেশ উপদেশ ধৰ্ম্মনীতি এবং দগুনীতির দ্বারা অবশেষে হৈমবতীর মুখের হাসি, মনের সুথ এবং যৌবনের আবেগ একেবারে নিষ্কর্ষণ করিয়া ফেলিতে স্বামীদেবতা সম্পূর্ণ কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন । কিন্তু, অনাসক্ত লোকের পক্ষে সংসারে বিস্তর বিঘ্ন । পরে পরে ফকিরের এক ছেলে এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করিয়া সংসারবন্ধন বাড়িয়া গেল। পিতার তাড়নায় এত বড় গম্ভীর প্রকৃতি ফকিরকেও আপিসে অাপিসে কৰ্ম্মের উমেদারীতে বাহির হইতে হইল, কিন্তু কৰ্ম্ম জুটিবার কোন সম্ভাবনা দেখা গেল না । তখন তিনি মনে করিলেন বুদ্ধদেবের মত আমি সংসার ত্যাগ