মুক্তির উপার। דיכא তুখের পরিবর্তে ঠিালি গোলার আয়োজন করিল, পিড়ার নীচে সুপারি রাখিয়। তাহাকে আছাড় খাওয়াইল, লেজ বানাইল এবং সহস্র প্রচলিত উপায়ে ফকিরের অভ্ৰভেদী গাম্ভীৰ্য্য ভূমিসাৎ করিয়া দিল। ফকির রাগিয়া ফুলিয়। কঁপিয়া ঝাকিয়া স্থাকিয়া কিছুতেই উপদ্রবকারীদের মনে ভীতির সঞ্চার করিতে পারিল না। কেবল সৰ্ব্বসাধারণের নিকট অধিকতর হাস্যাম্পদ হইতে লাগিল। ইহার উপরে আবার অন্তরাল হইতে একটি মিষ্ট কণ্ঠের উচ্চহাস্য মাঝে মাঝে কর্ণগোচর হুইত ; সেটা যেন পরিচিত বলিয়া ঠেকিত এবং মম দ্বিগুণ অধৈৰ্য্য হইয়া উঠিষ্ট । ” পরিচিত কণ্ঠ পাঠকের অপরিচিত নহে। এইটুকু বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, যষ্ঠিচর কোন এক সম্পর্কে হৈমবতীর মামা । বিবাহের পর শাগুড়ির দ্বার নিতান্ত নিপীড়িত হইয়। পিতৃমাতৃহীন হৈমবতী মাঝে মাঝে কোন-না-কোন কুটুম্ব বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করিত। অনেক দিন পরে সে মামার বাড়ি আসিয়া নেপথ্য হইতে এক পরম কৌতুকাবহ অভিনয় নিরীক্ষণ করিতেছে । তৎকালে হৈমৰতীর স্বাভাবিক রঙ্গপ্রিয়তার সঙ্গে প্রতিহিংস প্রবৃত্তির উদ্রেক হইয়াছিল কি না চরিত্রতত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিতেরা স্থির করিবেন, আমরা বলিতে অক্ষম। ঠাট্টার সম্পৰ্কীয় লোকেরা মাঝে মাঝে বিশ্রাম করিত কিন্তু স্নেহের সম্পৰ্কীয় লোকদের হাড় হইতে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন । সাত মেয়ে এবং এক ছেলে তাহাকে একদণ্ড ছাড়ে না । বাপের স্নেহ অধিকার করিবার জন্য তাঁহাদের মা তাহাদিগকে অকুক্ষণ নিযুক্ত রাখিয়াছিল। দুই মাতার মধ্যে আবার রেষারেষি ছিল উভয়েরই চেষ্টা যাহাতে নিজের সস্তানই অধিক আদর পায় । উভয়েই নিজ নিজ সস্তানদিগকে সৰ্ব্বদাই উত্তেজিত করিতে
